Site icon janatar kalam

দলের সঙ্গে মতবিরোধ রয়েছে, এই প্রথমবার প্রকাশ্যে স্বীকার করলেন শশী থারুর

জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- দলের সঙ্গে নানা বিষয়ে মতবিরোধ রয়েছে তাঁর। এই প্রথমবার প্রকাশ্যে স্বীকার করলেন কংগ্রেসের শীর্ষনেতা শশী থারুর। তবে সেই মতানৈক্য দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে নাকি রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে, সেটা স্পষ্ট করেননি শশী। এই মুহূর্তে দলের মধ্যেই কোণঠাসা শশী থারুর। মার্কিন মুলুকে অপারেশন সিঁদুরের জয়গান গেয়ে পবন খেরা, উদিত রাজ, জয়রাম রমেশের মতো নেতাদের খোঁচার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। শশী এআইসিসি সদস্য। কংগ্রেস সভাপতি পদে নির্বাচন লড়েছিলেন।

এ হেন নেতা লাগাতার প্রকাশ্যে দলের অবস্থানের উলটো পথে গিয়ে মোদি সরকারকে সার্টিফিকেট দিয়েছেন, তাতে অস্বস্তিতে পড়েছে দল। তবে তিরুঅনন্তপুরমের সাংসদ এতদিন প্রকাশ্যে সেই মতবিরোধের কথা স্বীকার করতেন না। তাঁর দাবি ছিল, তিনি অপারেশন সিঁদুরের মতো ইস্যুতে সরকারের অবস্থানকে সমর্থন করছেন শুধু ভারতের নাগরিক হিসাবে, কংগ্রেস নেতা হিসাবে নয়।

কিন্তু এবার কংগ্রেস সাংসদ বলে দিলেন, “দলের কারও কারও সঙ্গে আমার কিছু বিষয়ে মতবিরোধ রয়েছে। সেটা জনসমক্ষেই রয়েছে।” কেরলের নীলাম্বুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনের পর সে নিয়ে তিনি মুখ খুলবেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন শশী। তবে তাঁর এই মতবিরোধ কেরল কংগ্রেসের সঙ্গে নাকি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে, সেটা স্পষ্ট করেননি কংগ্রেস সাংসদ। অপারেশন সিঁদুর নিয়ে কেন্দ্রকে সমর্থন ইস্যুতে শশীর বক্তব্য, “আমি বিদেশে যা যা বলেছি, সবটাই আমার ব্যক্তিগত মতামত।

আমি মনে করি নাগরিক হিসাবে ওটা আমার কর্তব্য ছিল। দল আমার পরিষেবা চায়নি। কেন্দ্র চেয়েছে। আর সেটাই আমি করেছি। শশীর সঙ্গে কংগ্রেসের দূরত্ব বেশ কিছুদিন ধরেই বাড়ছে। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা মনে করছেন, এই মুহূর্তে কেরলে কংগ্রেস নেতৃত্বহীনতায় ভুগছে। সেকারণেই শেষদফায় বামেদের ক্ষমতাচ্যুত করা যায়নি।

এমনকী শশীর এও দাবি, যে তিনিই কেরলে কংগ্রেসের জনপ্রিয়তম নেতা। কংগ্রেসি ভাবধারার বাইরের বহু মানুষের কাছেও তাঁর গ্রহণযোগ্যতা আছে। যা নিয়ে কেরল কংগ্রেসে রীতিমতো টানাপড়েন শুরু হয়। এর মধ্যে লাগাতার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করে চলেছেন তিনি। এবার প্রকাশ্যেই মানলেন, দলের সঙ্গে তাঁর মতের মিল হচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, আগামী দিনে কোন পথে পা বাড়াতে চলেছেন তিনি?

Exit mobile version