Site icon janatar kalam

ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে রাজ্যের শাসক দল বিজেপি

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- আর কিছুদিন পরে গোটা রাজ্যে অনুষ্ঠিত হতে চলছে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল ময়দান চষে বেড়াচ্ছে কেউ এক সুচ ভূমি ছাড়তে নারাজ। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্পূর্ণ হয়েছে মনোনয়নপত্র দাখিল এবং প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া। এর মধ্যে জানা গিয়েছে যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রাম পঞ্চায়েত পঞ্চায়েত সমিতির এবং জেলা পরিষদের বেশিরভাগ আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে রাজ্যের শাসক দল বিজেপি।

পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে যে গ্রাম পঞ্চায়েতে যেখানে ৬৩৭০ টি আসন রয়েছে তার মধ্যে ৪৫৫০ টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে বিজেপি, অবশিষ্ট ১৮২০টি আসনে গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যে আসন গুলিতে শাসক দল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে সেগুলি হল ধলাই জেলার দুর্গা চৌমুহনী ব্লক, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার পুরাতন আগরতলা ব্লক এবং জিরানিয়া ব্লক, সিপাহীজলা জেলার নলছড় ব্লক, বক্সনগর ব্লক, গোমতি জেলার তেপানিয়া ব্লক, দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার জোলাইবাড়ি ব্লক।

 

গ্রাম পঞ্চায়েতের মতোই পঞ্চায়েত সমিতি নির্বাচনের জন্য যেখানে ৪২৩ টি আসন রয়েছে সেখানে শাসক দল বিজেপি ২৩৫ টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে। অবশিষ্ট ১৮৮ টি আসনে এবারের পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর যে আসন গুলিতে শাসক দল বিজেপি জয়ী হয়েছে সেগুলি হল ধলাই জেলার দুর্গা চৌমুহনী ব্লক, খোয়াই জেলার কল্যাণপুর ব্লক, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার মোহনপুর, বামুটিয়া, ওল্ড আগরতলা, ডুকলি, জিরানিয়া ব্লক, সিপাহীজলা জেলার নলছড়, চরিলাম, বক্সনগর, গোমতি জেলার তেপানিয়া এবং দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার পোয়াংবাড়ি।

তাছাড়া এই নির্বাচনে যেখানে জিলা পরিষদে ১১৬টি মোট আসন সংখ্যা রয়েছে। সেখানে ২০টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে বিজেপি। অবশিষ্ট ২০ টি আসনে এবারের জিলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখিত পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে বেশিরভাগ আসনেই বিজেপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে। ফলে এই নির্বাচনে শাসক দল দলগুলিকে ব্যাগ ফুটে ঠেলে দিয়ে এগিয়ে এগিয়ে রয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অবশিষ্ট যেসব আসনে নির্বাচনী লড়াই হবে সেসব আসনে কয়টি আসন ছিনিয়ে নিতে পারে বিরোধীরা সেটাই এখন দেখার বিষয়।

Exit mobile version