জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- কলকাতায় এক চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। স্বতঃপ্রণোদিত বিবেচনায় আদালত এই বিষয়টি শুনেছেন এবং ডাক্তারদের নিরাপত্তার বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। এছাড়াও, ভিকটিম ডাক্তারের ক্ষেত্রে কলকাতা পুলিশ এবং আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষের ভূমিকা নিয়েও কঠিন প্রশ্ন উঠেছে।
এই মামলার শুনানিকারী সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে রয়েছেন সিজেআই ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে সিবিআইয়ের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী কপিল সিবাল উপস্থিত ছিলেন। এর সাথে বেঙ্গল ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন সহ অন্যান্য আবেদনকারীদের আইনজীবীরাও হাজির হন।
এদিনের শুনানি পর্বে একাধিক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলে সর্বোচ্চ আদালত। প্রশ্ন উঠেছে তৎকালীন অধ্যক্ষের ভূমিকা নিয়েও। এমনকী আরজি করে কী করে বহিরাগতরা ঢুকে হামলা করল সেই প্রশ্নও তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালত জানতে চায়, কী করছিলেন আর জি কর মেডিক্যালের অধ্যক্ষ? তৎকালীন অধ্যক্ষ কেন বলেছিলেন এটি আত্মহত্যার ঘটনা?
শুনানি পর্বে আইনজীবী জানান, নিগৃহীতার সঙ্গে পাশবিক অত্যাচার করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন তুলেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। দেরি করে দায়ের করা হয়েছে FIR। হাসপাতালে কী করে বহিরাগতরা ঢুকে হামলা করল? শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কী করে ঢুকল দুষ্কৃতীরা? সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, অপরাধের জায়গা সুরক্ষিত রাখা কর্তব্য ছিল পুলিশের।