Site icon janatar kalam

ট্রাম্পের একাধিক ফোনকল এড়িয়ে গেলেন মোদি, শুল্ক যুদ্ধে নতুন অধ্যায়

জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একাধিক ফোনকল এড়িয়ে গেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জার্মান সংবাদমাধ্যম ফ্রাঙ্কফুর্টার আলগেমাইনে জানিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহে অন্তত চারবার আমেরিকার তরফে যোগাযোগের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এদিকে, ওয়াশিংটন ভারতীয় আমদানির ওপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত সেকেন্ডারি ট্যারিফ আরোপের সিদ্ধান্তে অটল থাকায় দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়ে উঠেছে।

নয়াদিল্লি কঠোর ভাষায় এই সিদ্ধান্তকে “অন্যায্য, অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য” বলে আখ্যা দিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস. জয়শঙ্করসহ একাধিক কূটনৈতিক বারবার উল্লেখ করেছেন, রাশিয়ার তেল কেনার সিদ্ধান্ত ভারতের জ্বালানি সুরক্ষা ও বিশ্ববাজারকে স্থিতিশীল করার প্রয়াসের অংশ। আমেরিকার অভিযোগ— রাশিয়ার ডিসকাউন্ট তেল কেনা মূলত ইউক্রেন যুদ্ধের অর্থ জোগাচ্ছে— ভারতের পক্ষ থেকে দৃঢ়ভাবে নাকচ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলি ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করলেও ভারত রাশিয়ার ডিসকাউন্টে বিক্রি হওয়া জ্বালানি কিনে বৈশ্বিক বাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। মার্কিন প্রশাসন তখনও ভারতকে এ পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করেছিল বলে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি সম্প্রতি জানিয়েছেন।

জার্মান সংবাদপত্রটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতি সাধারণত এক ধরণের প্যাটার্নে চলে— প্রথমে ঘাটতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ, তারপর উচ্চ শুল্কের হুমকি এবং পরে আলোচনার প্রস্তাব। অনেক ক্ষেত্রে শুল্ক ঘোষণার পর আলোচনার মাধ্যমে তা শিথিল করা হয়েছে। কিন্তু ভারতের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ভিন্ন। প্রতিবেদনটি মন্তব্য করেছে—
“এখনও পর্যন্ত ট্রাম্প সব প্রতিপক্ষকে শুল্ক যুদ্ধে পরাজিত করেছেন। ভারত ব্যতিক্রম। বরং ভারত চীনের দিকে ঝুঁকছে এবং পুরনো ক্ষত ভুলে যাচ্ছে।”

এদিকে, বুধবার থেকে কার্যকরী হতে যাওয়া নতুন শুল্কে ভারতীয় রপ্তানিকারকদের মাথায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, মার্কিন বাজারে ভারতীয় পণ্যের চাহিদা তীব্রভাবে হ্রাস পাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কৌশলগত মিত্র হিসেবেও এই দ্বন্দ্ব দুই দেশের সম্পর্ককে দীর্ঘমেয়াদে প্রভাবিত করতে পারে।

Exit mobile version