Site icon janatar kalam

জামাইষষ্ঠীতে জামাইবাবুকে সন্তুষ্ট করতে শাশুড়িদের ভিড় বাজারে 

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। আর এর মধ্যে অন্যতম একটি হল জামাইষষ্ঠী। প্রতিবছর জামাই ষষ্ঠীকে ঘিরে চলে ঘরে ঘরে এলাহি আয়োজন। জামাই বাবাজীকে সন্তুষ্ট করতে শাশুড়ি মায়েরা কিছুতেই খামতি রাখতে চান না। তবে নামে জামাই ষষ্ঠী হলেও অনেক বাড়িতে ছেলে- মেয়েদের মা- মাসিরা ঘরে ঘরে আয়োজন করে থাকেন।এবছর বুধবার ১২ জুন জামাই ষষ্ঠী।

মঙ্গলবারই রাজধানী সহ রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে ক্রেতা- বিক্রেতার ভিড়। তবে জামাই ষষ্ঠীর বাজারেও অগ্নি মূল্যের আঁচ। ষষ্ঠীর বিভিন্ন উপকরণ থেকে শুরু করে মাছ- মাংসের বাজারে। সবেতেই দাম চড়া। মূল্য বৃদ্ধির মাঝেও ষষ্ঠী পুজো থেকে শুরু করে একেবারে ভুরিভোজ – সবেতেই আয়োজন থাকে একেবারে জমজমাট। বুধবার জামাই ষষ্ঠী। তাই, চাহিদার জোগান দিতে জামাই ষষ্ঠীর বাজার মঙ্গলবারই জমে উঠেছে।

বিক্রেতারা ষষ্ঠীর বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে বসেছেন রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায়। বাজারগুলিতে ষষ্ঠী পূজার বিভিন্ন সরঞ্জাম সহ পুজোতে ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানিরা।তবে এসবের দামও চড়া। কারণ আধুনিকতার ছোঁয়ায় শহরে এখন বাড়ি ঘরে এসব উপকরণ তৈরি করা হয় খুব কম। তাই কম বেশি সকলে বাজার থেকেই এসব জিনিস কিনে আনেন।

বিক্রেতারা জানান এবছর ব্যবসা ভালই হচ্ছে। এদিকে জামাই ষষ্ঠী উপলক্ষে বাজারে এসে গেছে পদ্মার ইলিশ। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেড়- দুই কিংবা এক কেজি ওজনের ইলিশের ছড়াছড়ি। তবে দামও ছড়া। এদিন রাজধানী আগরতলার বাজারে ইলিশ মাছেরও যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের ইলিশ গুলি যথেষ্ট ভাল বলে অভিমত দোকানির।

বাজারে ইলিশের চাহিদাও রয়েছে বলে জানান মাছ বিক্রেতারা। এককথায় বছরের এই একটি বিশেষ দিনে জামাই বাবাজীকে খুশি করতে কিছুতেই খামতি রাখতে চান না শাশুড়িরা। এতে শ্বশুরের পকেট যতই কাটা যাক না কেন।

 

 

Exit mobile version