জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- রাজ্যে মহিলারা মোটেই সুরক্ষিত নয়, কেননা থানা গুলির ভূমিকা নেক্কারজনক। মামলা নিতে অনিহা , স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইছে মহিলারা। গোটা রাজ্যেই বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছে নারীরা, তাদের সুরক্ষা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ মহিলা থানা গুলি। যার ফলে সুরক্ষিত নয় মহিলারা। থানাগুলির ভূমিকা আরও সদর্থক হওয়ার দাবি নিয়ে শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হবেন রাজধানীর মধ্য ভূবন বন এলাকার একদল মহিলা সমাজসেবী। মহিলাদের সুরক্ষা দিতে সরকার রাজ্যের ৮ জেলায় আটটি মহিলা থানা স্থাপন করলেও ,ইতিমধ্যেই তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। সম্প্রতি রাজধানীর মধ্য ভূবন বন এলাকায় রাতের আঁধারে একদল দুষ্কৃতিকারী বউ শাশুড়ির উপর হামলা চালিয়ে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠেছিল। এ নিয়ে আগরতলা পশ্চিম মহিলা থানায় নালিশ জানাতে গেলেও, থানার ওসি সাহেবা এফআইআর নিতে নারাজ। শেষ পর্যন্ত জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হলে, এসপির নির্দেশে এফ আই আর গ্রহণ করেছিল মহিলা থানা। ভ্যেসএখানেই দায়িত্ব খালাস। বৃহস্পতিবার ফের মহিলারা দারস্ত হয়েছে পশ্চিম জেলা পুলিশ সুপারের। কেননা যে সমস্ত ধারায় মহিলা থানা মামলা গ্রহণ করেছে, সেগুলি জামিন যোগ্য ধারা। যেখানে শ্লীলতাহানির মতো ঘটনা ঘটেছে, সেখানে এই ধারা নিয়ে পুলিশ অপরাধীদের কি শাস্তি দেবে। অপরাধীরা প্রকাশ্যেই বলে বেড়াচ্ছে থানা পুলিশ নাকি তারা কিনে ফেলেছে। এমতাবস্থায় পুলিশ সুপার যদি শক্তপোক্ত ধারায় মামলা গ্রহণ করে আসামিদের শাস্তির ব্যবস্থা না করেন, তাহলে দিন দিন বেড়ে চলবে অপরাধপ্রবণতা। প্রসঙ্গত মধ্য ভূবন বন এলাকার ঘটনা প্রায় একমাস অতিক্রান্ত হয়েছে | অপরাধীরা দিব্যি বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে পুলিশকে কিনে ফেলেছে বলে। সেই জায়গায় আগরতলা পশ্চিম মহিলা থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।
Leave a Comment