জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- রাজ্যের জনদরদী সরকার সকল স্তরের মানুষের বিকাশে কাজ করছে। খাদ্য দপ্তরের বিভিন্ন স্টোরে নিযুক্ত শ্রমিকদের মজুরি আগামী দিনে আরও বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। কিন্তু এক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিজ নিজ কাজ দায়িত্ব নিয়ে সঠিকভাবে পালন করতে হবে। রাজ্যের গণবন্টন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গণবন্টন ব্যবস্থা শক্তিশালী হলে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থাও সুদৃঢ় হয়। আগরতলা অরুন্ধতীনগর খাদ্য দপ্তরের কেন্দ্রীয় মজুদ ভান্ডারে নতুন কেনা পাঁচটি ট্রাক গাড়ির যাত্রা সূচনা করে একথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
তিনি বলেন রাজ্যের গণবন্টন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য এই গাড়িগুলি কেনা হয়েছে। রাজ্যে এখন দুই হাজারের বেশি ন্যায্যমূলের দোকানের মাধ্যমে চাল- ডাল- তেলসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বন্টন করা হয়। রাজ্য সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে এই ট্রাকগুলি কেনা হয়েছে।এফসিআই থেকে রাজ্যের সরকারী খাদ্য গোদামে গনবন্টনের জন্য খাদ্যশস্য পরিবহন এবং ন্যায্যমূল্যের দোকানে এই খাদ্যশস্য সহ অন্যান্য রেশন সামগ্রী সঠিক সময়ে পৌঁছাতে পরিবহনের কাজে খাদ্য দপ্তর টেন্ডারিং এর মাধ্যমে ট্রান্সপোর্ট কন্ট্রাক্টর নিযুক্ত করে থাকে।
কিন্তু ট্রান্সপোর্ট কনট্রাক্টর দ্বারা সরবরাহ করা মালবাহী ট্রাক যথেষ্ট না হওয়ায় এই কাজের জন্য খাদ্য দপ্তর প্রায়ই নিজস্ব মালবাহী ট্রাক ব্যাবহার কর থাকে। এতদিন পর্যন্ত খাদ্য দপ্তরের কাছে ১৭টি এই ধরনের ট্রাক ছিল।কয়েক বছরে রাজ্যে গনবন্টন ব্যবস্থার অধীনে ভোক্তাদের সংখ্যা একদিকে যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে অন্যদিকে নতুন নতুন সামগ্রীও যোগ করা হয়েছে। এর ফলে বর্তমানে রেশন সামগ্রীর পরিবহন সহ সরকারী উদ্যোগে কেনা ধান মিলগুলিতে পরিবহন ও মিলিং এর পর উৎপাদিত চাল সরকারী খাদ্য গোদামে পরিবহন সম্পর্কীত কাজের লোড আগের থেকে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।
তা বিবেচনা করে খাদ্য দপ্তর প্রায় ১ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা ব্যায়ে আরো ৫টি নতুন ট্রাক কিনেছে। মঙ্গলবার আগরতলার এ ডি নগরস্থীত সেন্ট্রাল স্টোরে এই ট্রাকগুলির আনুষ্ঠানিক যাত্রা করা হয় দপ্তরের মন্ত্রীর হাত ধরে। উপস্থিত ছিলেন খাদ্য দপ্তরের বিশেষ সচিন রাভেল হেমেন্দ্র কুমার, অধিকর্তা নির্মল অধিকারী, অতিরিক্ত অধিকর্তা অনিমেষ দেববর্মা, ত্রিপুরা হর্টিকালচার কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান জওহর সাহা সহ অন্যরা।