জনতার কলম ওয়েবডেস্ক : রবিবার নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়ামে ৪৪তম দাবা অলিম্পিয়াডের জন্য মশাল দৌড়ের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মশাল দৌড় অলিম্পিক গেমস-এর অন্যতম ঐতিহ্য। তবে, দাবা অলিম্পিয়াডে এর আগে কখনও মশাল দৌড়ের আয়োজন করা হয়নি। এই বছর, প্রথমবার এই মশাল দৌড়ের আয়োজন করেছে আন্তর্জাতিক দাবা সংস্থা, ফিডে। কাজেই, দাবা অলিম্পিয়াডে ভারতেই প্রথম মশাল দৌড় দেখা গেল। ঐতিহাসিক এই মশাল দৌড়ের সূচনা করার পর, অনুষ্ঠানে ভাষণও দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, ‘আমাদের পূর্বপুরুষরা মস্তিষ্কের বিশ্লেষণাত্মক বিকাশের জন্য চতুরঙ্গ এবং দাবার মতো খেলাগুলির আবিষ্কার করেছিলেন। যে শিশুরা দাবা খেলে তারা পরবর্তীকালে ভাল সমস্যা সমাধানকারীতে পরিণত হয়। গত ৮ বছরে, ভারত দাবাতে দারুণ উন্নতি করেছে’।১৯২৭ সালে শুরু হয়েছিল দাবা অলিম্পিয়াড। এই বছর থেকেই প্রথমবার মশাল দৌড় শুরু হল। তবে, এরপর থেকে প্রত্যেক দাবা অলিম্পিয়াডেই মশাল দৌড় দেখা যাবে। ভারতের চতুরঙ্গ খেলা থেকে আধুনিক দাবা খেলার জন্ম। সেই ঐতিহ্যকে সম্মান জানিয়ে ‘ফিডে’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রত্যেকবারই দাবা অলিম্পিয়াডের মশাল দৌড় শুরু হবে দাবার আঁতুড়ঘর ভারতেই। ভারত থেকে সমস্ত মহাদেশ ঘুরে সেই মশাল গিয়ে গিয়ে পৌঁছবে আয়োজক দেশে। এদিন, নয়া দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়ামে প্রথমে মশালটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে তুলে দেন ‘ফিডে’ সভাপতি আরকাদি ডভোরকোভিচ। এরপর, মশালটি জ্বালিয়ে সেটি তুলে দেন ভারতের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার তথা পাঁচবারের বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়ন বিশ্বনাথন আনন্দের হাতে।
আগামী ৪০ দিনে এই মশাল ঘুরবে ভারতের ৭৫টি শহরে। প্রতিটি শহরেই সংশ্লিষ্ট রাজ্যের দাবা গ্র্যান্ডমাস্টাররা মশালটি গ্রহণ করবেন। মশালের শেষ গন্তব্য তামিলনাড়ুর মহাবলিপুরম।