জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- সুপার কাপের প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খেল ইস্টবেঙ্গল। মঞ্জেরির পয়ানাড় স্টেডিয়ামে এগিয়ে থেকেও শেষ অবধি ওডিশা এফসির বিরুদ্ধে ১-১ গোলে ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো লাল হলুদকে। বি গ্রুপে অপর ম্যাচে এদিনই আইজল এফসিকে হারিয়ে অভিযান শুরু করেছে হায়দরাবাদ এফসি।প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গল ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল। ৩৮ মিনিটে গোল করেছিলেন মোবাসির রহমান। ৭২ মিনিটে নন্দ কুমারের গোলে সমতা ফেরায় ওডিশা।
শুরু থেকে দাপট দেখাতে থাকে ওডিশা এফসি। বেশ কয়েকটি বিপজ্জনক আক্রমণ শানায় তারা। ব্রাজিলিয়ান তারকা দিয়েগো মরিসিওর সৌজন্যে। প্রথম ১৫ মিনিটে তিনবার অফ সাইডের ফাঁদে জড়িয়ে পড়েন মরিসিও। ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ সেভাবে দানা বাঁধছিল না। ওডিশা ডিফেন্ডার নরেন্দর গেহলট ডেঞ্জার জোনে বল রাখলে গোলকিপারকে একা পেয়ে গোল করেন মোবাশির।দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরুর পর জেক জার্ভিস দুবার গোল করার পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন। ৫০ মিনিটে গোলকিপার অমরিন্দর সিংকে একা পেয়ে মাটি ঘেঁষা শট মারেন জার্ভিস, যা রুখে দেন অমরিন্দর। সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ভিপি সুহের, ক্লেইটন সিলভারা। ফলে স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের প্রশিক্ষণাধীন দল ব্যবধান বাড়াতে পারেনি।কয়েকটি পরিবর্তন ঘটিয়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালাতে থাকে ওডিশা। ৬২ মিনিটে ভিক্টর রডরিগেজের শট রুখে দেন ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার কমলজিত্ সিং। যদিও এর ১০ মিনিট পরেই সমতা ফেরাতে সক্ষম হয় ওডিশা। ৮৫ মিনিটে জেক জার্ভিসের শট বাঁচান অমরিন্দর। ১৭ এপ্রিল ইস্টবেঙ্গলের পরের ম্যাচ আইজল এফসি-র বিরুদ্ধে। ওডিশা খেলবে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে।
হায়দরাবাদ এফসি এদিন হারিয়ে দিয়েছে আইজল এফসিকে। বার্থোলোমিউ ওগবেচে-সহ অনেককেই বিশ্রাম দিয়ে আইএসএলে বেশি খেলেননি এমন ফুটবলারদেরই নামিয়েছিলেন হায়দরাবাদ কোচ মানোলো মারকুয়েজ। কোয়ালিফায়ার থেকে মূলপর্বে ওঠা আইজল এফসি লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত ছিল। কিন্তু শেষ অবধি মাঠ ছাড়ল পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েই।গোলকিপার ভানাল হৃয়াতপুইয়া রুখে দিলে ফিরতি বল ধরে জালে জড়ান জোয়েল জোসেফ চিয়ানিজ। এরপর বল দখলের লড়াইয়ে হায়দরাবাদের সঙ্গে সমান তালে লড়লেও গোলমুখ খুলতে পারেনি আইজল। ৫০ মিনিটে হায়দরাবাদ দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে যায়। পরিবর্ত হিসেবে নেমে পেনাল্টি থেকে গোলটি করেন মিডফিল্ডার জোয়াও ভিক্টর।
আইজল অধিনায়ক কিম কিমা বক্সের মধ্যে অবৈধভাবে বাধা দেন অ্যারেন ডি সিলভা। সে কারণেই পেনাল্টি পেয়েছিল হায়দরাবাদ। তাদের জয়ের ব্যবধান আরও বাড়তে পারতো। তবে আইজল গোলকিপার বেশ কয়েকটি ভালো সেভ করে দলকে বড় লজ্জার হাত থেকে বাঁচান।