জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- এবছর মায়ের গমনে অংশ নিতে যাওয়া ক্লাব গুলিকে ডিজে সাউন্ড ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার। মায়ের গমন ও শারদ সম্মান নিয়ে রবিবার বৈঠক পুজো উদ্যোক্তাদের নিয়ে। সেই সভায় পুর নিগমের মেয়র বলেন, নিজে আনন্দ করতে গিয়ে অন্যের যেন কোন ক্ষতি না হয় সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন দশমীঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন করার জন্য বর্তমানে কোন ধরনের শ্রমিক নিয়ে যেতে হয় না। এমনকি কোন ধরনের সাউন্ড বাদ্যযন্ত্র দশমীঘাটে নিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ। আগরতলা পুর নিগমের পক্ষ থেকে দশমীঘাটে ৫০ জোড়া ঢাকের ব্যবস্থা করা হবে। তার পাশাপাশি উলুধ্বনির ব্যবস্থা থাকবে।
রবিবার এবছরের মায়ের গমন এবং শারদ সম্মান নিয়ে এদিন আলোচনা করতে বৈঠক করা হয় পূজা উদ্যোক্তা, আরক্ষা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নিয়ে। এবার স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। সিটি সেন্টারের সামনের পরিবর্তন কার্নিভ্যাল করা হবে মহারানী তুলসীবতি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে।
রাজধানীর মুক্তধারা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় এই বৈঠক। উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব পি.কে চক্রবর্তী, দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য, পশ্চিম জেলার জেলা শাসক ডাঃ বিশাল কুমার, আগরতলা পুর নিগমের কমিশনার শৈলেস কুমার যাদব, পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপার কিরন কুমার কে সহ অন্যান্যরা।
পর্যালোচনা বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা মায়ের গমন অনুষ্ঠানের জন্য তুলসীবতি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনের জায়গাটি প্রস্তাব করেছিলেন। সেই প্রস্তাব বিভিন্ন ক্লাব সমর্থন করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবকে মান্যতা দিয়ে ইতিমধ্যে দপ্তরের পক্ষ থেকে জায়গাটি পরিদর্শন করা হয়েছে। মায়ের গমন অনুষ্ঠানের জন্য স্থান পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে রাস্তারও কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে।
সকলের সাথে আলোচনা করে সেই রাস্তা ঠিক করা হয়েছে। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য বলেন মায়ের গমন অনুষ্ঠানের জন্য রাস্তা নির্ধারণ করতে গিয়ে আগরতলা শহর ও শহর সংলগ্ন এলাকার পূজা গুলিকে ৯ টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। এছাড়াও সভায় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।