Site icon janatar kalam

উন্নত সৎকার পরিষেবার লক্ষ্যে নতুন চুল্লী ও ঘাট নির্মাণ,’ বটতলা মহাশ্মশানে আধুনিকীকরণের প্রতিশ্রুতি মেয়রের

জনতার কলম আগরতলা প্রতিনিধি :- আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার আজ বটতলা মহাশ্মশান পরিদর্শন করেন, যার মূল লক্ষ্য ছিল সৎকারের কাজে জনসাধারণের জন্য আরও উন্নত ও মানসম্মত পরিষেবা নিশ্চিত করা। এই পরিদর্শনের মাধ্যমে তিনি শ্মশান ঘাটের বর্তমান পরিকাঠামো, পরিষেবার মান এবং বিদ্যমান সমস্যাগুলো খতিয়ে দেখেন।

পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মেয়র জানান, বটতলা মহাশ্মশানে অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং সৎকার পরিষেবার মান বৃদ্ধির জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো শ্মশান ঘাটকে আধুনিকীকরণ করে জনসাধারণের জন্য একটি সুষ্ঠু ও সম্মানজনক পরিষেবা নিশ্চিত করা। এখানকার ঘাটতি চিহ্নিত করা হয়েছে, এবং এগুলোর সমাধানে আমরা দ্রুত কাজ শুরু করব।”

মেয়র দীপক মজুমদার জানান, আগরতলা পুর নিগম বটতলা মহাশ্মশানে একটি নতুন চুল্লী স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা সৎকার প্রক্রিয়াকে আরও দ্রুত ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সহায়তা করবে। এছাড়াও, হাওড়া নদীর তীরে আরেকটি নতুন ঘাট নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এই উদ্যোগগুলো শ্মশানের সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং জনগণের জন্য সৎকার প্রক্রিয়াকে আরও সহজতর করবে।

এদিন মেয়র স্মার্ট সিটি প্রকল্পের আওতায় আগরতলা শহরের সৌন্দর্যায়ন ও উন্নয়নমূলক কাজ পর্যবেক্ষণের অংশ হিসেবেও বটতলা মহাশ্মশান এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, শ্মশান ঘাটের পরিবেশ ও অবকাঠামো উন্নত করার মাধ্যমে এটিকে শহরের সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা হবে। এর ফলে শুধু পরিষেবার মানই নয়, এলাকার সামগ্রিক পরিবেশও উন্নত হবে।

মেয়র দীপক মজুমদার জোর দিয়ে বলেন, “বটতলা মহাশ্মশানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা আমাদের অগ্রাধিকার। আমরা চাই, এই শ্মশান ঘাটে আগত ব্যক্তিরা একটি শান্তিপূর্ণ ও সম্মানজনক পরিবেশে সৎকার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন।” তিনি আরও জানান, আগরতলা পুর নিগম জনসাধারণের সুবিধার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সামগ্রী ও পরিষেবা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আগরতলা পুর নিগমের এই উদ্যোগ শহরের বটতলা মহাশ্মশানকে একটি আধুনিক ও জনবান্ধব স্থানে রূপান্তরিত করার দিকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। নতুন চুল্লী স্থাপন, নতুন ঘাট নির্মাণ এবং স্মার্ট সিটি প্রকল্পের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে আগরতলার এই গুরুত্বপূর্ণ স্থানটি আরও উন্নত ও কার্যকরী হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। মেয়রের এই পরিদর্শন এবং ঘোষিত পরিকল্পনা জনসাধারণের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

Exit mobile version