জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- বন্যা বর্তমানে আসামে সর্বনাশ করছে। আসাম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (এএসডিএমএ) তাদের প্রতিবেদনে বলেছে যে গত এক মাসে বন্যার কারণে রাজ্যে ৫৮ জন প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ লাখ মানুষ। বন্যার কারণে মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
বন্যার কারণে পশুপাখির ক্ষতি হচ্ছে এবং অনেক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজ্যে গৃহহীন হয়েছে শত শত মানুষ। নেমাটিঘাট, তেজপুর, ধুবরি ও গোয়ালপাড়ায় ব্রহ্মপুত্রসহ আরও ৯টি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, নদীগুলির জলস্তর ধীরে ধীরে কমছে।
বন্যার কারণে রাজ্যের ২৭টি জেলায় ৫৭৭টি ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে ৫ লাখ ২৬ হাজারের বেশি মানুষ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। খাদ্য ও অন্যান্য সাহায্যের জন্য বিতরণ কেন্দ্রও স্থাপন করা হয়েছে। বন্যার কারণে 3,535টি গ্রাম তলিয়ে গেছে। ৬৮,৭৬৮.৫ হেক্টর ফসলি জমিও তলিয়ে গেছে।
এএসডিএমএ আরও জানায়, ‘গত ৬ জুলাই চড়াইদেও জেলায় বন্যার পানিতে ডুবে দুজনের মৃত্যু হয়। গোয়ালপাড়ায় একজন এবং মরিগাঁও, সোনিতপুর ও তিনসুকিয়া জেলায় একজন করে মারা গেছেন। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধুবরি জেলা। এর পর রয়েছে কাছাড় ও দারাং। বন্যার এই দ্বিতীয় তরঙ্গে ২৯টি জেলার ২.৩৯৬ মিলিয়ন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা গুয়াহাটির জ্যোতি নগরে অভিনাশ সরকারের শোকাহত বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন। বন্যার সময় মন্দিরের কাছে ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ হন অভিনাশ। অভিভাবকদের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।