জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- অভিযুক্তদের থানা থেকে ছাড়িয়ে নিতে রানীরবাজারে আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়ক অবরোধ স্থানীয়দের। স্থানীয়দের অভিযোগ পুলিশ যাদেরকে আটক করেছে তারা নির্দোষ। তাদেরকে ছেরে দিতে হবে। দীর্ঘ সময় সড়ক অবরোধের পর শেষ পর্যন্ত মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর আশ্বাসে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয় স্থানীয়রা।
২৫ আগস্ট রানীরবাজার দুর্গানগরে ঘটে যায় এক অনভিপ্রেত ঘটনা। সমাজদ্রোহীরা সমাজে অশান্তি ছাড়ানোর লক্ষ্যে দুর্গানগরে কালী মূর্তির মাথা ও মহাদেবের মাথা ভেঙ্গে দেয় রাতের অন্ধকারে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাপা উত্তেজনা দেখা দেয়। পরবর্তী সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকায় শান্তির পরিবেশ বজায় রাখার জন্য দুই সম্প্রদায়ের লোকদের নিয়ে বৈঠকে বসে।
এই বৈঠক চলাকালীন সময় কিছু দুষ্কৃতি কিছু সংখ্যা লঘু পরিবারের উপর আক্রমণ চালায়। এই নিয়ে এলাকায় দেখা দেয় উত্তেজনা। এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। এইদিকে বুধবার রাতে পুলিশ সংখ্যা গুরু সম্প্রদায়ের ৫ জন লোককে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। তারই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে এলাকার জনগণ একত্রিত হয়ে আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়কের রানীবাজারে সড়ক অবরোধে বসে।
তাদের দাবি পুলিশ যাদের গ্রেপ্তার করেছে তারা নির্দোষ। তাদেরকে থানা থেকে ছেরে দিতে হবে। সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। রাস্তার দুই পাশে আটকে পড়ে ছোট বড় বহু যানবাহন। পড়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপার কিরন কুমার কে, মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী সহ অন্যান্যরা। মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী কথা বলেন স্থানীয়দের সাথে। তিনি স্থানীয়দের জানান পুলিশকে পুলিশের কাজ করতে দিতে হবে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।
আইন সকলের জন্য সমান। আইন আইনের রাস্তায় চলবে। সড়ক অবরোধ করে রাখলে সমস্যার সমাধান হবে না। তাই সড়ক অবরোধ মুক্ত করে দেওয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান। মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর কাছ থেকে আশ্বাস পাওয়ার পর স্থানীয়রা সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়। তারপর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। জানা যায় কালী মূর্তির মাথা ভাঙ্গার ঘটনা ও সংখ্যা লঘুদের বাড়িতে আক্রমণ চালানোর ঘটনার তদন্ত জারি রেখেছে পুলিশ।