জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :-
রাজ্যে যেকোনো সরকারি চাকরিতেই পিআরটিসি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মন্ত্রিসভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হবার পর স্বাভাবিকভাবে খুশি রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীরা। এর মধ্যেই সম্প্রতি সেনাবাহিনীতে রাজ্যের জন্য নির্ধারিত শূন্যপদ গুলি পূরণের জন্য শুরু হয় নিয়োগ প্রক্রিয়া। আর এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হতেই রাজ্যের বেকার যুবকদের জন্য বরাদ্দকৃত আসন গুলিতে থাবা বসাতে সক্রিয় হয়ে উঠে বহির রাজ্যের একাংশ যুবক। রাজ্য সরকার পিআরটিসি বাধ্যতামূলক করায় বহি রাজ্যের একাংশ বেকার যুবক মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে পিআরটিসি সার্টিফিকেট বের করে অনলাইনে আবেদনপত্র জমা দেয়। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাজ্যের বেকারদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ দেখা দেয়। তথ্য প্রমাণ সহ প্রদেশ এনএস ইউ আই বিষয়টি জেলাশাসকের দৃষ্টিতে নিয়ে যাওয়ার পরেও কোন সুফল নেই। তাই এরকম দশজন বেকার যুবকের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ তুলে দিয়ে সম্প্রতি পশ্চিম থানায় মামলা উদায়ের করে এনএস ইউ আই। অথচ অবাক করার বিষয় হলো যে এতসব কিছুর পরেও ভূয়া পিআরটিসির বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা নেই প্রশাসনের। ভুয়া পিআরটিসি বের করে দেওয়ার চক্রটির বিরুদ্ধেও নেই কোন ধরনের পদক্ষেপ। আর প্রশাসনের এই নীরবতার সুযোগ নিয়ে ভুয়া পিআরটিসি নিয়ে চাকুরীর মেডিকেল দিতে এসে এবার স্থানীয় বেকার যুবকদের হাতে ধরা পড়ল বহির রাজ্যের এক যুবক। ঘটনা শুক্রবার আগরতলা শহরতলী শালবাগান বিএসএফ ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায়। এদিন থেকেই শুরু হয় নিয়োগের মেডিকেল পরীক্ষা। রাজ্যের বেকারদের পাশাপাশি বহির রাজ্যের বেকাররাও ভুয়া পিআরটিসি নিয়ে এদিন এই পরীক্ষায় বসে। পরীক্ষা দিতে এসে শালবাগান বিএসএফ ক্যাম্প এলাকাতেই ধরা পড়ে বহির রাজ্যের এক যুবক। তার বাড়ি বিহারের পাটনা। রাজ্যের যুবকরা তাকে আটক করে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলে কোন উত্তর দিতে পারেনি। আটক যুবকের কাছ থেকে রাজ্যের পিআরটিসি সহ বিহারের কিছু সার্টিফিকেট পাওয়া যায়। এর পরই রাজ্যের যুবকরা আটক যুবককে তুলে দেয় এনসিসি থানার পুলিশের হাতে। আটক যুবক জানান এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে এই পি আর টি সি সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা হয়েছে। লক্ষ টাকার বিনিময়ে পিআরটিসি নিয়ে ইন্টারভিউ দিতে এসে বহির রাজ্যের যুবক রাজ্যের যুবকদের হাতে ধরা পড়ার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই জনমনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি।