জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :-
দ্বিতীয়বারের মতো মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেই দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন ডক্টর মানিক সাহা। কোন ধরনের রাজনৈতিক সন্ত্রাস বরদাস্ত করা হবে না বলে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশের গোটা রাজ্যেই কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া রাজনৈতিক হিংসাত্মক ঘটনা অনেকটাই কম ছিল। যদিও সন্ত্রাস নিয়ে বিরোধীদের রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। এর মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি বার্তাকে উপেক্ষা করে কিছু সংখ্যক দুষ্কৃতিকারী আগরতলা শহর রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় এখনো হিংসাত্মক কার্যকলাপ জারি রেখেছে। তা আরো একবার পার্থক্য করা গেল খোদ রাজধানী আগরতলার বুকে রবিবার গভীর রাতে। শহরের রামনগর গাঙ্গাইল রোড স্থিত নিবেদিতা ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় এদিন গভীর রাতে দুষ্কৃতিকারীরা পর পর বেশ কয়েকটি বাড়িতে আচমকা হামলা চালায়। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে দুষ্কৃতিকারীরা বাড়ি ঘরে ভাংচুর সহ লুটপাট চালায় বলেও অভিযোগ। আক্রান্ত পরিবারের লোকেরা কোনক্রমে পালিয়ে বাঁচতে সক্ষম হয়। অভিযোগ আক্রান্ত পরিবার গুলি বিরোধী দলের সমর্থক। তাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়েই দুষ্কৃতিকারীরা এই হামলা সংঘটিত করে বলে অভিযোগ আক্রান্ত পরিবারের লোকদের। দুষ্কৃতিকারীদের আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তিন তিনটি বাড়ি। ভাঙ্গা হয় ঘরের দরজা। দুষ্কৃতিকারীরা আক্রমণ চালিয়ে ফিরে যাওয়ার পথে নিয়ে যায় বেশ কয়েক হাজার টাকার কাঠ। আক্রান্তদের অভিযোগ ঘটনা চলাকালীন সময় পুলিশকে বারবার ফোন করা সত্ত্বেও কোন উত্তর নেই। পরিবর্তী সময় আক্রমণের ঘটনা জানিয়ে রামনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত পুলিশ দুষ্কৃতিকারীদের টিকির নাগাল পায়নি। গভীর রাতে দুষ্কৃতিকারীদের হামলার ঘটনাকে ঘিরে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি। আক্রান্ত পরিবারের লোকরা জানান, ডক্টর মানিক সাহার নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারকে কালিমালিপ্ত করতেই দুষ্কৃতিকারীরা এই আক্রমণ সংঘটিত করেছে। তাই দুষ্কৃতিকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি প্রদানের দাবি জানান আক্রান্তরা।