জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- ব্যাঙ্ক হল এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে সাধারণ মানুষ নিজের উপার্জিত অর্থ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার স্বার্থে জমা রাখেন দুর্দিনে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে , এখন সেই ব্যাঙ্কেই ঘাঁটি গেরেছে প্রতারক ও দালাল চক্র! মাথায় হাত সাধারণ মানুষের। এমনই এক ঘটনা সামনে এলো আজ , জানা যায় ২০১৯ সালে সোনামুড়া রাঙামাটি এলাকার মঞ্জু বিবি নামে এক গৃহবধূ পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকে স্বামী কবীর হোসেনের একাউন্টে সাত লক্ষ টাকা জমা করেন। ব্যাংক কর্মী আলপু মিঞা টাকাটি ফিক্সড ডিপোজিট করে রাখেন। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলেছিলেন ৫-৬ বছর পর ব্যাংকে গিয়ে সার্টিফিকেট আনার জন্য।এখন যখন সার্টিফিকেট নিতে ব্যাংকে যায় তখন বলা হচ্ছে ব্যাংকে কোন ধরনের ফিক্সড করেননি তিনি এবং মহিলার স্বামীর একাউন্টে কোন টাকা নেই। ব্যাংকের ম্যানেজার স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছেন কোন অর্থ নেই তার একাউন্টে। এ বিষয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা জানান মহিলা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সময়ের কথা বলছে। কখনো বলছেন ২০০৮ সালে তিনি টাকা রেখেছিলেন, আবার কখনো বলছেন ২০১৮ সালে টাকা রেখেছিলেন এবং মহিলার কাছে কোনরকম তথ্য প্রমাণ নেই। যার কারণে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কোন কিছুই বলতে পারছেন না। তবে এর পেছনে মূলত কি রহস্য লুকিয়ে রয়েছে সেটা বুঝে উঠতে পারেনি এদিন ব্যাংকের অন্যান্য গ্রাহকরা। সর্বস্ব হারিয়ে এদিন ব্যাঙ্ক চত্বরেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন গৃবধূ।
Leave a Comment