জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- রাজ্যের গর্বের ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে কালিমালিপ্ত করল সহ অধ্যাপক ভূপেশ। ছাত্রীর শ্লীলতা হানির অভিযোগ উঠল তার বিরুদ্ধে। বরখাস্তের দাবীতে উত্তাল এবিভিপি ছাত্রছাত্রীরা।গর্ভের শিক্ষকদের যখন চারিত্রিক অধঃপতন হয় তখন আর শিক্ষক থাকে না ওই নরাধমরা।ছাত্রীদের কাছে তারা হয়ে ওঠে হিংস্র হায়েনা। মা বাবা অনেকটা ভরসা ও বিশ্বাস করে শিক্ষকদের হাতে তুলে দিচ্ছে তাদের ছেলেমেয়েদের। বর্তমানে একাংশ নরপিচাশ মনোভাবী শিক্ষক ছাত্রীদের ফেলছে তাদের কুনজরে। সারা দেশ তথা রাজ্যে আকছাড় এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসছে। হয় গৃহ শিক্ষক নতুবা স্কুল কলেজ শিক্ষক দ্বারা যৌন হেনস্তার শিকার হচ্ছে ছাত্রীরা। এ যেন রক্ষকই ভক্ষক হয়ে উঠছে শিক্ষকরা।ছাত্রছাত্রীরা সাধারণত শিক্ষকদের পিতৃমাতৃ, মনোভাবে গুরতুল্য মনে করে। আর এই সমস্ত শিক্ষকরা কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে বর্তমান ছাত্রীদের কাছে। এবার এমনই এক লোমহর্ষক ঘটনা ঘটল রাজ্যের গর্বের বিশ্ববিদ্যালয়ে। ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ অধ্যাপক কর্তৃক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটল। অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও নেক্কারজনক এই ঘটনায় অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবিতে উত্তাল করে তুলেছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। এবিভিপি ছাত্রছাত্রীরা অধ্যাপককে গ্রেপ্তার করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বরখাস্ত করার দাবী জানিয়েছে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি রুমে যখন মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান চলছিল ঠিক পাশের রুমে তখন যৌন উন্মাদ অধ্যাপক ছাত্রীর শ্লীলতাহানিতে ব্যস্ত। এই সময়ে নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের সোসিওলজি বিভাগের মৌখিক পরীক্ষা চলছিল ১১ নম্বর হলে। এই সময়ে অধ্যাপক দ্বারা শ্লীলতাহানির ফলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন ছাত্রীটি। এদিকে তার সহপাটিরা অনুষ্ঠানে অনুপস্থিতি দেখে খুঁজতে যায় ১১ নম্বর হলে। গিয়ে দেখে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে রয়েছে সহপাঠী। সহকারী অধ্যাপক ভূপেশ দেববর্মা হাবার মত দাঁড়িয়ে আছে রুমে। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাপানিয়া ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজে। এদিকে রাতেই মেয়েটির বিধবা মা আমতলী থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে কিন্তু গ্রেপ্তার নেই। আসুন শুনবো কি ঘটেছিল সেদিন। এদিকে বিক্ষোভরত এবিভিপি ছাত্রছাত্রীরা নাছোড়বান্দা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর গঙ্গা প্রসাদ প্রসেইনের অফিসের সামনে। শেষ পর্যন্ত উপায়ান্তর না দেখে ফের আরেকবার এফআইআর দায়ের করে এসডি পিও আসিস দাশগুপ্তার কাছে। পরে উপায়ান্তর না দেখে আসিস দাস গুপ্ত গ্রেপ্তার করার প্রতিশ্রুতি দিতে বাধ্য হয় ছাত্রছাত্রীদের কাছে। যদিও স্পর্শকাতর, নেক্কারজনক নিন্দনীয় এই ঘটনায় মর্মাহত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্টার সহ অন্যান্য অধ্যাপক অধ্যাপিকারা। তারাও ছাত্র-ছাত্রীদের আশ্বস্ত করেছেন উপযুক্ত তদন্তক্রমে অভিযুক্তের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে আইন অনুযায়ী।