জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- লোন পরিশোধ করার তিন মাস পর ফের টাকার জন্য চাপ। নিরুপায় হয়ে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা। গ্রামবাসীরা আটক করে রেখেছে বন্ধন ব্যাংকের ২ কর্মীকে। বন্ধন ব্যাংক এর কর্মীদের হুমকির মুখে আত্মহত্যা করার ঘটনা এই রাজ্যে নেহাতই কম ঘটেনি । কিছুদিন নিশ্চুপ থাকার পর ফের স্বমহিমায় ফিরে এসেছে বন্ধন ব্যাংকের কর্মীরা। টাকার জন্য বাড়িতে গিয়ে হাজির।অভিযোগ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করারও।অসহায় মানুষদের ব্যাংকে আটকে রাখারও অভিযোগ করছে। নিয়মিত কিস্তি দিয়ে গেলেও হিসেবে গরমিল করে সাধারণ মানুষদের হেনস্থা করছে এক শ্রেণীর ফিল্ড কর্মীরা। বিশালগড় মহকুমার প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে প্রতিনিয়ত বন্ধন ব্যাংকের ফিল্ড কর্মীদের হাতে অপদস্থ হচ্ছে সাধারণ জনতা। গত তিন মাস আগে বন্ধনের ঋণ পরিশোধ করেছিল বিশালগড়ের নদীখাল এলাকার হাজেরা বেগম। তিন মাস পর গত দু-তিনদিন ধরে বন্ধন ব্যাংকের ফিল্ড কর্মীরা বাড়িতে এসে জানায় তার ঋণের টাকা এখনো পরিশোধ হয়নি, তার কাছে নাকি ব্যাংক আরও ২৪ হাজার টাকা পাবে। এদিকে অসহায় হাজেরা বেগম টাকার চাপ সহ্য করতে না পেরে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বর্তমানে সে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এদিনই আবার বন্ধন ব্যাংকের দুই কর্মী গিয়ে হাজির হয়ে তার বাড়িতে। খবর পেয়ে গ্রামের মানুষ ছুটে গিয়ে আটক করে রাখে দুই কর্মীকে। অভিযোগ, এলাকার আরো কয়েকজন গৃহবধূকে গত কয়েকদিন ধরে এভাবে চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে বন্ধন ব্যাংক। অতিষ্ঠ মহিলারা তাদের গালিগালাজ সহ্য করতে না পারি বেছে নিচ্ছে আত্ম হননের পথ। বৃহস্পতিবার যে মহিলা বিষ খেয়েছিল সেই মহিলার ছোট বোন নিজেই সাংবাদিকদের সামনে বলেছে, ঋণ পরিশোধের সময় হাজেরা খাতুন এর সঙ্গে ব্যাংকে গিয়েছিল সে নিজেই। এখন টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করাতেই আজ তার বোন মৃত্যু পথযাত্রী। অসহায় হাজেরা বেগম বন্ধনের চাপ সহ্য করতে না পেরে যখন ছেলের কাছে টাকা চেয়েছিল , ছেলেও নাকি ফোনে চেন্নাই থেকে জানিয়ে দিয়েছিল আগে একবার ঋণের টাকা পরিশোধ করেছি, এখন আবার কিসের টাকা, সে টাকা আমি দিতে পারবো না। তারপরেই অভিমানে আত্মহত্যাকে বেছে নিয়েছিল হাজেরা। জানিয়েছেন প্রতিবেশী এক যুবক। প্রসঙ্গত শুধু বিশালগড় মহকুমা নয় গোটা রাজ্যেই লকডাউনের পর থেকে বন্ধন ব্যাংকের কর্মীরা নতুন করে আর ঋণ দিতে না পারায়, পুরনো গ্রাহকদের হয়রানি করতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ। অবিলম্বে যদি প্রশাসন থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয়, তাহলে হয়তো আরো অনেক হাজেরার এভাবে মৃত্যু পথযাত্রী হতে হবে।
Leave a Comment