জনতার কলম ত্রিপুরা কল্যাণপুর প্রতিনিধিঃ- বর্তমানে নেশার বাড়বাড়ন্তে উদ্বিগ্ন জনসমাজ। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে গ্রাম ত্রিপুরার আর্থসামাজিক ব্যবস্থার সামনে একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ।এই নেশার কবলে পড়ে একাংশ ছাত্র সমাজ এবং যুবসমাজ উচ্ছন্নে যেতে বসেছে। আর এর ফলে সঙ্গত কারণেই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে দেখা দিয়েছে বড়োসড়ো প্রশ্ন চিহ্ন। মাঝে মাঝে নেশা কারবারিদের একাংশ পুলিশের জালে আটকা পড়লেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নেশা কারবার এর সাথে যুক্ত রাঘব বোয়ালরা থাকছে পর্দার আড়ালেই ।এর ফলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নেশা মুক্ত রাজ্য করার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে কিনা তা নিয়ে প্রতিদিন প্রশ্নমালা তৈরি হচ্ছে। আজ অর্থাত ১৯ সে এপ্রিল কল্যাণপুর থানাধীন ঘিলাতলী গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনের বাজার এলাকায় সচেতন নাগরিকরা সংঘবদ্ধভাবে নেশার সাথে যুক্ত এক যুবককে আটক করতে পারলেও তার সহকর্মীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায় বেশ কয়েক মাস ধরেই ঘিলাতলী বাজারের বিভিন্ন জায়গায় একাংশ বখাটে যুবক নেশার বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে । কয়েকদিন এলাকাবাসীরা চেষ্টা করতে থাকলেও নেশার কারবারিদের জালে তুলতে পারছিলেন না, অবশেষে আজ সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ দাউচরা এলাকার পারেন্দ্র দেববর্মার ছেলে বিশাল দেববর্মা (২৫) তার দুই বন্ধুসহ স্বাগতম পাল পিতা তপন চন্দ্র পালের বাড়ি থেকে নেশা সামগ্রী ক্রয় করে বেরিয়ে যাবার মুখে এলাকার মহিলারা অন্য তিনজন সহ তাকে আটক করলেও বাকিরা পালিয়ে যায়।
মুহূর্তেই নেশা কারবারি আটক হওয়ার খবর গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই সাধারণ মানুষরা ভিড় জমান সংশ্লিষ্ট এলাকায়। নিকটবর্তী কল্যাণ কল্যাণপুর থানার পুলিশ ছুটে গিয়ে জনতার হাতে আটক বিশালকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেয়।
একটা সময় জনগণের চাপে পড়ে পুলিশ অভিযুক্ত স্বাগতম পালের বাড়িতে তল্লাশি চালায়।
এলাকার সূত্রে দাবি উঠছে নেশার বাড়বাড়ন্ত রূখতে সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করুক পুলিশ।
যেভাবে কল্যাণপুর এর বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী সহ একাংশ নেশার জালে আচ্ছন্ন হয়ে সমাজের পরিবেশ প্রচন্ডভাবে দূষিত করছে তা থেকে মুক্তি চাইছেন শুভবুদ্ধি সম্পন্ন জনগণ।