জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে ভারতীয় ও চীনা সেনাদের মধ্যে ৯ ডিসেম্বর হিংসাত্মক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কয়েকজন জওয়ান আহত হয়েছেন। এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এদিকে, লাদাখে শান্তি বজায় রাখতে ভারত ও চীনের মধ্যে কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠকে সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে যে, ভারত-চীন কর্পস কমান্ডার স্তরের ১৭ তম রাউন্ড বৈঠক ২০ ডিসেম্বর চুশুল মলদো (লাদাখ)-এ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উভয় পক্ষই পশ্চিমাঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে সম্মত হয়েছে।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, ১৭ জুলাই অনুষ্ঠিত আগের বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলি বৈঠকে পর্যালোচনা করা হয়। বৈঠকে পশ্চিমা খাতে করা চুক্তি নিয়েও আলোচনা হয়। মুখপাত্র বলে, “উভয় পক্ষই পশ্চিম সেক্টরে স্থলভাগে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং সামরিক ও কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে সংলাপ বজায় রাখতে ও পারস্পরিকভাবে গ্রহণযোগ্য রেজোলিউশনে কাজ করতে সম্মত হয়েছে।” উল্লেখ্য, অরুণাচল প্রদেশে চীন সীমান্তে সর্বশেষ সংঘর্ষের পর থেকে ভারত সরকার কাজ করছে। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রীও তাওয়াং-এ হিংসাত্মক সংঘর্ষের জন্য চীনা সৈন্যদের দায়ী করেছেন। তিনি সংসদে বলেছিলেন যে, চীনা সৈন্যরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ভারতীয় সৈন্যরা চীনকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে। তবে বিরোধীরা চীন ইস্যুতে সরকারকে কটাক্ষ করছে।
গত বেশ কয়েকদিন ধরেই সংসদের দুই কক্ষে চীনের ইস্যু প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। বিরোধীরা চায় সরকার চীন ইস্যু নিয়ে সংসদে আলোচনা করুক, কিন্তু স্পিকার এখনও বিরোধীদের কথা মানেননি। কংগ্রেস পার্লামেন্টারি পার্টির প্রধান সোনিয়া গান্ধী সীমান্তে ‘চীনের আধিপত্য’ নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বুধবার তীব্র আক্রমণ করে বলেন, সংসদে এই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা করতে সরকারের অস্বীকৃতি গণতন্ত্রের অসম্মান এবং এই পুরো পর্বে সরকারের নীরবতা একটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয়। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি আরও বলেন, “আমাদের সীমান্তে চীনের ক্রমাগত দখল একটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয়। পুরো দেশ আমাদের সতর্ক সৈন্যদের পাশে দাঁড়িয়েছে, যারা কঠিন পরিস্থিতিতে চীনের আক্রমণকে ব্যর্থ করেছে। সরকার এ বিষয়ে সংসদে আলোচনা করতে অস্বীকার করছে। ফলে রাজনৈতিক দল এবং জনগণ প্রকৃত স্থল পরিস্থিতি সম্পর্কে অজ্ঞ।’