Site icon janatar kalam

২ দেশের পাচারকারী দলের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বেঘোরে মৃত্যু পাচারকারীর ফ্ল্যাগ মিটিংয়ে সমাধান

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- পাচার সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে ২ দেশের পাচারকারী দলের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ। সংঘর্ষে মৃত্যু হলো ১ বাংলাদেশি পাচারকারীর। ঘটনা বক্সনগরের রহিমপুর সীমান্তে। গভীর রাতে ২ পাচারকারী দলের মধ্যে সংঘর্ষ। সংঘর্ষের দীর্ঘক্ষণ পরও চিকিৎসা করানো হয়নি গুরুতর ভাবে আহত হওয়া ১ বাংলাদেশি পাচারকারীর।অবশেষে সীমান্তের জিরো পয়েন্টে পড়ে বেঘোরে মৃত্যু হল ঐ পাচারকারীর
ঘটনা বক্সনগরের রহিমপুর সীমান্তের।বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টা পর্যন্ত সীমান্তের জিরো পয়েন্টে গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে থাকা যুবক ভারত না বাংলাদেশের ? তা সনাক্ত না হওয়ায় ২ দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে না বিজিবি, না বিএসএফ, কেউই তার চিকিৎসা করায়নি। বুধবার গভীর রাতে রহিমপুর সীমান্তের 2058 আন্তর্জাতিক পিলার সংলগ্ন এলাকায় ২ দেশীয় ২ পাচারকারী দলের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। সে সময় আশাবাড়ি বিওপি থেকে বিএসএফ ছুটে গেলেও বাংলাদেশি পাচারকারীরা বিএসএফের ওপর ইট পাটকেল ছুড়ে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থল থেকে ১ বাংলাদেশি পাচারকারীকে বিওপিতে উঠিয়ে নিয়ে আসে বিএসএফ। বৃহস্পতিবার সকালে সীমান্তের মানুষেরা দেখতে পান সীমান্তের জিরো পয়েন্টে মারধরের শিকার হয়ে গুরুরর আহত অবস্থায় পড়ে রয়েছে এক যুবক। স্থানীয়দের পাশাপাশি ২ দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীও পৌঁছায় সেখানে। কিন্তু কোন দেশের এই যুবক ? তা সনাক্ত না হওয়ায় কেউই তার চিকিৎসা করানোর দ্বায়িত্ব নেয়নি। এক সময় বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসকদের একটি দল সীমান্তে আসলেও বিজিবির বাধাদানে তারা চিকিৎসা করতে পারেননি। অবশেষে ২ দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর চোখের সামনেই ছটফট করতে করতে মৃত্যু হয় তারা। পরবর্তী সময় সন্ধান পাওয়া যায় মৃত যুবকের ঠিকানার। মৃত যুবক বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার তুষার আহম্মেদ।ওপারের কুমিল্লা জেলার নারায়ন পুরের আত্মীয়ের বাড়িতে থাকতো। সে পাচার সংক্রান্ত কাজে যুক্ত ছিল বলে জানা গেছে। ঘটনা যাই হউক ২ দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর চরম অমানবিকতা আর অবহেলায় এভাবে একজনের বেঘোরে মৃত্যু হলো বলেই অভিমত সীমান্তবাসীদের। বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের মাধ্যমে অবশেষে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া হয় পাচারকারীর দেহ।

Exit mobile version