জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- আজ সোনামুড়া মহকুমার অধীন বৈরাগীবাজার নাট মন্দিরে রাজ্যের ৪৯টি স্থানে ধান ক্রয় কেন্দ্রেরাজ্যের খাদ্য জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তর এবং কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর-এর যৌথ উদ্যোগে রাজ্যের কৃষকবন্ধুদের বৃহত্তর স্বার্থের কথা মাথায় রেখে সরকার নির্ধারিত কুইন্টাল প্রতি ২১৮৩ টাকা ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে সরাসরি কৃষকবন্ধুদের কাছ থেকে চলতি খারিফ মরসুমে উৎপাদিত ধান ক্রয় কর্মসূচির অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।
এদিন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন,২০১৮ সালে আমাদের সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর কৃষকদের আয় কিভাবে দ্বিগুণ করা যায় তার জন্য রাজ্য সরকার প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে। ২৫ বছর কৃষক বন্ধুদের সাথে প্রতারণা করে গেছে অতীতের সরকার। রাজ্য সরকার প্রতিটি কৃষি মহকুমায় আধুনিক কৃষি পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ করছে। যাতে করে কৃষকরা তাদের রোজগার বৃদ্ধি করতে পারে । কৃষকদের আধুনিক যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে সার বীজ দেওয়া হচ্ছে। কৃষকদের সঠিক পরামর্শ দেওয়ার জন্য প্রতিটি কৃষি মহকুমায় কৃষক বন্ধু কেন্দ্র ও কৃষক জ্ঞান অর্জন কেন্দ্র খুলে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি কৃষকরা যাতে তাদের উৎপাদিত ফসলের সঠিক মূল্য পায় তার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
সরকার ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কৃষক বন্ধুদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করছে। তাছাড়া ধানের মূল্য বৃদ্ধিতে কৃষকদের উৎসাহ বেড়েছে৷ ফলে, ফলনও বেড়েছে। ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয়ের কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকে ত্রিপুরায় কয়েক লক্ষ কৃষক উপকৃত হয়েছেন। তাতে, ত্রিপুরা সরকারের আর্থিক বোঝা বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন।অতীতে ত্রিপুরায় এমএসপি-র মাধ্যমে ধান কেনার কোনও বন্দোবস্তই ছিল না। ফলে কৃষকরা বঞ্চিত হতেন। আমাদের সরকার তা শুরু করেছে৷ ত্রিপুরা সরকার কৃষকদের কাছ থেকে কুইন্টাল প্রতি ২১৮৩ টাকা দরে ধান ক্রয় করছে।
এবছর রাজ্য সরকার কৃষকদের কাছ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। পাশাপাশি মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা আশা করছি এবছর আমরা নির্ধারিত এই লক্ষ্যমাত্রাকে অর্জন করতে পারবো। তিনি রাজ্যের কৃষকদের কাছে অনুরোধ করে বলেন, আপনারা আপনাদের নিকটবর্তী কৃষি বিভাগ বা মহকুমাশাসকের দফতরে ধান বিক্রয় করুন এবং ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রয়ের সুবিধা গ্রহণ করুন।
সব কৃষক যাতে সরকারি সহায়ক মূল্যে নির্দিষ্ট পরিমাণ ধান বিক্রি করতে পারেন তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা অবলম্বন করা হবে। ধান ক্রয় কেন্দ্রে সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে আমাদের কৃষক বন্ধুদের কোনোভাবেই যাতে হয়রানির শিকার না হতে হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য তিনি সেখানে উপস্থিত আধিকারিকদের নির্দেশ প্রদান করেন।