Site icon janatar kalam

২০১৮ সালের পর মানুষের বাড়ি-ঘরে তিনগুণ বিদ্যুৎ বিল বৃদ্ধি করে দিয়েছে বিজেপি সরকার : মানিক 

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- রবিবার সিপিআইএম রাজ্য দপ্তরে সাংবাদিক সম্মেলন করে সিপিআইএম নেতা তথা প্রাক্তন বিদ্যুৎ মন্ত্রী মানিক দে বলেন, পূর্বতন সরকারের সময় ২০১৪ সালের পর বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি করার কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সম্প্রতি বিদ্যুৎ নিগম রেগুলেটরি কমিশনের কাছে পিটিশন দাখিল করেছে। তারপর এর উপর ভিত্তি করে সাত শতাংশ বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেগুলেটরি কমিশন। কিন্তু ২০১৪ সালের পর বামফ্রন্ট সরকার ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি না করে লোডসিডিং তুলে দিয়ে এবং বকেয়া বিল সংগ্রহ করার দিকে জোর দেয়। কিন্তু বর্তমান সরকার সেটা না করে রেভিনিউ ঘাটতি দেখিয়েছে। এ পেছনে মূলত কি কারণ জানা নেই রাজ্যবাসীর। এবং স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে বকেয়া বিল সংগ্রহ করতে পারেনি বা বিলিং করতে পারে নি নিগম। আর এই সমস্যাটা সরকারি কিংবা বেসরকারি অফিসের ক্ষেত্রে হতে পারে। সুতরাং সঠিক সময় মত বিদ্যুৎ বিল সংগ্রহ করা এবং ১০০ শতাংশ বিলিং করতে পারলে এই সমস্যাটা সৃষ্টি হতো না।

এবং প্রাক্তন বিদ্যুৎ মন্ত্রী এদিন বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ তুলে বলেন ২০১৮ সালের পর মানুষের বাড়ি-ঘরে তিনগুণ বিদ্যুৎ বিল বৃদ্ধি করে প্রদান করতে দেখা গেছে। কিন্তু সরকার মুখে বলছে বিদ্যুৎ বিল বাড়ায়নি। তাহলে প্রশ্ন কিভাবে বিদ্যুৎ বিল বেড়েছে। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে শ্রী দে আরো বলেন, বহু বাড়িতে বিদ্যুৎ থাকার পরও মিটার না থাকাটাও বিদ্যুৎ নিগমের জন্য একটা ক্ষতির দিক। এর পাশাপাশি পাওয়ার উঠানামা করাটাও বিদ্যুৎ নিগমের জন্য ক্ষতি দিক বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি এর পরিপ্রেক্ষিতে আরো বলেন, রাজ্যের বিদ্যুৎ বাংলাদেশ এবং বহিঃরাজ্যে বিক্রি করা হচ্ছে। সেখানে বিদ্যুৎ বিক্রি করে বহু টাকা লাভ হচ্ছে সরকারের। তাই বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি না করে আয় ও ব্যয় মধ্যে সামঞ্জস্য রেখে চলতে পারতো। কিন্তু সেটা খতিয়ে না দেখে বিদ্যুৎ মাসুল বৃদ্ধি করে ভোক্তাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই বিষয়টি কমিশনের পুনরায় বিবেচনা করা প্রয়োজন বলে জানান মানিক দে। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্টের আহ্বায়ক নারায়ন কর।

Exit mobile version