Site icon janatar kalam

১৩৩ কানি জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগে আটক এক 

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- ১৩৩ কানি জমি কেলেঙ্কারি মামলায় অনেকে গ্রেফতার হলেও নিরাপদে ছিল কাইজার দেববর্মা। শিল্প দপ্তরের প্রাক্তন অতিরিক্ত অধিকর্তা কাইজার দেববর্মা আগেও দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন। ২০২৩ সালের ১২ জুলাই দিল্লির একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মামলায় কাইজার কে বাদ দিলেও অন্তত পক্ষে আরো পাঁচজন গ্রেপ্তার হয়। মামলার দুই বছরেও কাইজার ম্যানেজ করে চলছিলেন আদালতে আগাম জামিন চেয়েও পাননি।

অবশেষে মঙ্গলবার কাইজারকে কৃষ্ণনগরের তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পশ্চিম থানা পুলিশ। মামলাটি করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের নয়ডার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এডুকেশন মিশনের হিমাংশু পাঞ্চাল। হিমাংশু ওয়ার্ল্ড এডুকেশন মিশনের অধিকর্তা ছিলেন। কাইজার ছাড়াও উত্তম সাহা দেবাশীষ চক্রবর্তী সুব্রত আচার্য রাজেশ ত্রিপুরা ও বিপ্লব শর্মার নামে মামলা করা হয়।

ইউটিউবার সাংবাদিক রাজেশকে সাম্প্রতিক গ্রেফতার করে পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল প্রথম থেকে কাইজারের নাম উঠে আসে। অভিযোগ দিল্লির ওয়ার্ল্ড এডুকেশন মিশনকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য ১৩৩ কানি জমি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অভিযুক্তরা। মোহনপুর মহকুমা শাসক অফিস থেকে জালি জমি দলিল ও তৈরি করা হয়। এই বিষয়ে মোহনপুর মহকুমা শাসকের কাছেও অভিযোগ করা হয়েছিল অভিযোগ অনুযায়ী দিল্লিতে শিল্পদ্যোগী মেলায় কাইজার সহ অভিযুক্তদের কয়েকজনের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল ওয়ার্ল্ড এডুকেশন মিশনের অধিকর্তার।

ত্রিপুরায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করার জন্য আগে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল বেসরকারি সংস্থাটি তাদের সঙ্গে প্রথমে আলোচনা হয় শিল্প দপ্তরের কাইজারের। এরপর বোধজংনগরে জমি দেখানো হয়। বিভিন্ন ব্যক্তি থেকে সবমিলিয়ে জমি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। অভিযোগ দাখিলকারী হিমাংশু দাবি ছিল তার কাছ থেকে এক কোটি পঁচিশ লক্ষ টাকা অভিযুক্তরা নিয়েছিল। এই টাকার বদলে ৪৮ দশমিক ৫২ এখন জমির হস্তান্তরের প্রক্রিয়া হয়। উত্তরপ্রদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংস্থাটি পরে বুঝতে পারে এটা তাদের সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে।

প্রতারণা বুঝতে পেরে মোহনপুর মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ করেছে হিমাংশু। কিন্তু এই অভিযোগের কিছুই হয়নি শেষ পর্যন্ত প্রথম থানায় মামলা নেওয়ার পর গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হয়। ২০২৩ সাল থেকে মামলার গ্রেপ্তার করা হয় উত্তম সাহা সুব্রত আচার্য রাজেশ ত্রিপুরা ও উত্তম সাহা সহ অন্য অভিযুক্তদের।

তারা প্রত্যেকেই মামলায় জেল হাজত কেটে ছাড়া পেয়েছে। কিন্তু কাইজার রহস্যজনকভাবে এতদিন গ্রেপ্তার হয়নি। তার বিরুদ্ধে পশ্চিম থানায় একাধিক মামলায় ধারা ওয়া হয়েছিল। আজ তাকে কোর্টে তোলা হবে পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে জানান পশ্চিম থানার ওসি পরিতোষ দাস।

Exit mobile version