Site icon janatar kalam

হরিয়ানার পরবর্তী রাজ্যপাল হচ্ছেন বাংলার অসীম ঘোষ

জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- তথাগত র‍্যায়ের পর বঙ্গ বিজেপির আরেক প্রাত্তন রাজ্য সভাপতি অধ্যাপক অসীম ঘোষ হরিয়ানার রাজ্যপাল হিসাবে নিযুক্ত হলেন। সোমবার সকালে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁকে রাজ্যপাল হিসাবে নিযুক্ত করেন। তিনি খুব শিগগির হরিয়ানার রাজ্যপালের দায়িত্বভার নেবেন। অসীমের রাজ্যপালের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়া দলের অনেকের কাছেও রীতিমতো চমকের ঘটনা। হরিয়ানা ছাড়াও রাষ্ট্রপতি এদিন গোয়া ও লাদাখের রাজ্যপালও নিয়োগ করেন। গোয়ার নতুন রাজ্যপাল হচ্ছেন পুষ্পতি অশোক গজপতি। লাদাখের লেফটেন্যান্ট গভর্নর হচ্ছেন কোভিন্দর গুপ্তা। সোমবার রাষ্ট্রপতি একাধিক রাজ্যের রাজ্যপাল ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের লেফটেন্যান্ট গভর্নর পদে নিয়োগের ঘোষণা করেন।

অসীম ঘোষ চতুর্থ ব্যক্তি, যিনি বাংলা থেকে রাজ্যপাল হলেন। কংগ্রেসের জমানায় রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় অশান্ত পাঞ্জাবে রাজ্যপাল করা হয় বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়কে। পরে অটলবিহারী বাজপেয়ীর জমানায় রাজ্য বিজেপির আর এক প্রাক্তন সভাপতি বিষ্ণুকান্ত শাস্ত্রীকে উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল করা হয়। নরেন্দ্র মোদীর আমলে প্রথমে ত্রিপুরা এবং পরে মেঘালয়ের রাজ্যপাল করা হয়েছিল তথাগত রায়কে। এদিন সকালে বন্ধুদের কাছ থেকে প্রথম খবরটি পান অসীমবাবু। তাঁর প্রথম প্রতিক্রিয়া, “অনেক বড় দায়িত্ব। সংবিধান মেনে নিজের দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করব। দূরে গেলেও এখানেই মন পড়ে থাকবে। অপেক্ষা করব আবার বাংলা কবে তার হারানো গৌরব ফিরে পাবে।” তাঁকে রাজ্যপাল নির্বাচিত করায় রাষ্ট্রপতি ও বিজেপির উচ্চ নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

১৯৪৪ সালে হাওড়ায় জন্ম অসীম ঘোষের। পড়াশোনা হাওড়া বিবেকানন্দ ইনস্টিটিউশনে। কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে স্নাতক হন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় চ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পর দীর্ঘ ৩৮ বছর অধ্যাপনায় যুক্ত ছিলেন। ১৯৯১ সালে যোগ দেন বিজেপিতে। সেই বছরই কাশীপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হন, তবে জিততে পারেননি। ছিলেন রাজ্য বুদ্ধিজীবী সেলের সক্রিয় সদস্য। ১৯৯৬ সালে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক হন অসীমবাবু। এরপর ১৯৯৮ সালে রাজ্য সহ-সভাপতি এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০২ পর্যন্ত রাজ্য সভাপতির পদে ছিলেন।

Exit mobile version