জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ভারত। তারপরই কার্যত ভারতকে সামরিক অভিযান বন্ধ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন পাক ডিজিএমও। আচমকা আবার সুরবদল। মঙ্গলবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন যে আসন্ন আলোচনায় “সিন্ধুর জল সমস্যা” সমাধান না হলে দুই দেশের মধ্যে “যুদ্ধবিরতি” আবার হুমকির মুখে পড়তে পারে।
সোমবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, জল সমস্যা সমাধানে ব্যর্থতা “যুদ্ধের সমান”। এদিন তিনি ভারতের পক্ষ থেকে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত রাখার ভারতের সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করেন। ১৯৬০ সালে হওয়া ঐতিহাসিক সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত রাখার পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পানি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়েমে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার একদিন পর ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈরিক সম্পরক ত্যাগ করেছিল। তারই একটি ধাপ ছিল সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত। ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে পাকিস্তান যতক্ষণ না নিজেকে সন্ত্রাসবাদের আতুরঘর করে রাখা থেকে বিরত থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই চুক্তি স্থগিত থাকবে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই মন্তব্য এমন এক দিনে সামনে এসেছে যখন আগের দিনই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন “রক্ত এবং জল একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না”। সামরিক অভিযান বন্ধ থাকছে ঠিকই, কিন্তু আইডব্লিউটি স্থগিতাদেশে কোনও পরিবর্তন আনছে না।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের ডিজিএমও-দের মধ্যে সরাসরি কোনও আলোচনা প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং আরও বলেছেন যে পাকিস্তান ভারতে আঘাত করার জন্য পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের কথা ভাবেনি। পহেলগাঁও হামলার পর থেকে পাকিস্তান নিজ অভ্যাস মতো একের পর এক মিথ্যাচার করে চলেছে। সোমবার ভারত পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর তথ্য যাচাই করেছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে যে ভারত হাফিজ আবদুল রউফকে হত্যা করেছে। প্রসঙ্গত, রউফ একজন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী।
অপারেশন সিঁদুরের পর জাতির উদ্দেশ্যে প্রথম ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোমবার পাকিস্তানকে কঠোরভাবে সতর্ক করে দিয়ে বলেন যে ভারত ‘নিউক্লিয়ার ব্যাকমেলিং’ বা পারমাণবিক হুমকির কাছে নতি স্বীকার করবে না। পাকিস্তানের সঙ্গে যে কোনও আলোচনা কেবল সন্ত্রাসবাদ এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীর নিয়েই হতে পারে।”