জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি রাজ্যের কৃষির। এই অবস্থায় ১৪ দফা দাবিতে রাজ্যের মুখ্য সচিবের সঙ্গে দেখা করলেন সারা ভারত কৃষকসভার নেতৃত্ব। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক পবিত্র কর সহ, সহ- সম্পাদক রতন দাস সহ অন্যরা। পবিত্র কর বলেন,স্মরনতীতকালে ত্রিপুরা রাজ্য এবারকার মত এমন ভয়াবহ বন্যার মুখে পড়েনি। এজন্য সারা ভারত কৃষক সভা বন্যার্তদের পাশে ও সরকারের পাশে দৃঢ়ভাবে থাকার ঘোষণা দিয়েছে।
পবিত্র কর বলেন গোমতী, দক্ষিন,উনকোটী, উত্তর,খোয়াই, ধলাই জেলার বিশেষ করে গণ্ডাছড়া, সিপাহীজলা সহ সমস্ত ত্রিপুরা রাজ্যই ক্ষতিগ্রস্ত। এই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর ক্ষতি শুধু কয়েকটি কথা বলে পূর্ণ করা যাবে না, তাদের পাশে থেকে এই ক্ষতিপূরণ করতে রাজ্য সরকারের পাশে থাকবে কৃষক সভা। তিনি বলেন,আমন ধান থেকে শুরু করে সমস্ত সবজি বিশেষ করে জুমের ফসল পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে, সাথে গবাদিপশুও বিরাট সংখ্যক মারা গেছে।
পবিত্র কর বলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী কৃষি জমি ও কৃষকের সংখ্যার যে তথ্য দিয়েছেন সেটা প্রাথমিক ভাবে পেয়েছেন সেটা ঠিক ছিল, এটা বেড়ে আড়াই লাখ হয়েছে। প্রলয়ঙ্করী বন্যায় সর্বাধিক আড়াই লক্ষ কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাঁদের ব্যাপক সাহায্যের দাবি জানলো সারা ভারত কৃষক সভার ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি। মেলারমাঠ কৃষক ভবনে এক সাংবাদিক সন্মেলনে এই দাবি জানান রাজ্য কৃষক সভার সম্পাদক পবিত্র কর।
তিনি বলেন এই রাজ্যে আগেকার তিনটি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে কৃষকদের জন্য সাহায্য দাবি করা হয়েছিল,একটি ক্ষেত্রে যৎসামান্য সাহায্য মিললেও বাকি ক্ষেত্রে কিছুই পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন সেজন্যই সংগঠনের এক প্রতিনিধি দল সুনির্দিষ্ট ১৪ দফা দাবি নিয়ে মুখ্যসচিবের সাথে ডেপুটেশনে মিলিত হয়। মুখ্যসচিব দাবিগুলোর সাথে সহমত পোষণ করে সেদিনই মুখ্যমন্ত্রীর সাথে তাঁর যে সভা হবে সেখানে তুলবেন বলে জানিয়েছিলেন।
তিনি সমস্ত দাবি গুলো ব্যাখ্যা করে বলেন একা রাজ্য সরকারের পক্ষে এই বিশাল ক্ষতি পূরণ করা সম্ভব নয় সেজন্য অতিসত্বর কেন্দ্রীয় সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। আর্থিক সহায়তার ব্যাপারে যে পরিকল্পনা করা হবে তা কৃষকদের সাথে বসে করার দাবি জানান।রাজ্যের মুখ্যসচিবের সাথে রাজ্যের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিতে কৃষকদের ও কৃষি ক্ষেত্রের অবস্থা নিয়ে এক ডেপুটেশনে যে চৌদ্দ দফা দাবি নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে এই বন্যায় কৃষকদের ও রাজ্যের কৃষির ভয়ঙ্কর ক্ষতি নিয়ে আলোচনা হয়।