জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- পুজোর পাক মুহূর্তে সবজি বাজারে আগুন । সবজির আগুনে ক্রেতাদের পকেটে লাগছে ছ্যাকা । রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্ত নিম্ন মধ্যবিত্ত সহ সাধারণ গরিব মানুষের ।পুজোর প্রাক মুহূর্তে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের পাশাপাশি ঊর্ধ্বমূল্য চলছে সবজি বাজারেও । ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকার নিচে কোন সবজি পাওয়া যাচ্ছে না । একইভাবে মূল্যবৃদ্ধি আদা কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজ রসুনের । ৫০০ টাকার নিচে সাধারণ দু-তিনজনের পরিবারের খরচ হচ্ছে না । মাথায় হাত ক্রেতা সাধারণের । প্রতি বছর এই মরশুমে সবজির দাম একটু বেশি থাকলেও এ বছরের সবজির দামে সাধারণ ক্রেতাদের পকেটে রীতিমতো টান পড়ছে । শীতকালীন সবজি ঝিঙ্গে , কাঁকরোল , উচ্ছে , করলা , ঢেঁড়স , কুমড়া , চাল কুমড়া , লাউ , লত সিম সবকিছুর দাম আকাশ ছোঁয়া । তবুও খেয়ে বেঁচে থাকার জন্য দাম যতই হোক বাজার কিন্তু করতেই হচ্ছে । যেখানে প্রয়োজন এক কেজি সেখানে ক্রেতারা নিচ্ছে ৫০০ গ্রাম কিংবা আড়াইশো গ্রাম । জিনিসপত্র এখন আর বাজারে কেজিতে দাম বলতে শোনা যায় না । কেউ কেউ বলছে আড়াইশো গ্রাম ৪০ টাকা , আবার কেউ কেউ বলছে ১০০ গ্রাম ২০ টাকা । কেজি শব্দটি যেন বিক্রেতাদের মুখ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে । বাজার করতে এসে জিনিসপত্রের দাম দেখে ক্রেতাদের মুখের হাসিটি যেন ম্লান হয়ে পড়েছে । এদিকে বিক্রেতাদের বক্তব্য উৎসই জিনিসপত্রের দাম বেশি । পাইকারি মূল্যে আশি টাকায় কিনলে তারা বিক্রি করছে ৯০ কিংবা ১০০ টাকা কেজি ধরে । কেউ কেউ বলছে পূজার এই মরশুমে সমস্ত জিনিসপত্রের দামই একটু বেশি থাকে । বিশেষ করে এ বছর পুজোর আগে বৃষ্টির ফলে অনেক সবজি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যার ফলে বাজারে উর্ধমূল্য চলছে । পুজোর মাসে মানুষের অনেক নিয়ম-নিষ্ঠা থাকার ফলে প্রায় পরিবার নিরামিষভোজন করে । যার ফলে সবজির দাম একটু বৃদ্ধি পেয়েছে ।প্রসঙ্গত প্রতিবছর পূজোর মাস ও কার্তিক মাসে সাধারণত মানুষ নিরামিষভোজন করে । যার ফলে চাহিদার তুলনায় বাজারে সবজি কম থাকায় ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয় মূল্যবৃদ্ধি করতে । এর ফলে সাধারণ মধ্যবিত্ত , নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন শ্রেণীর মানুষরা হিমশিম খেতে হয় । তার বাজেটের বাইরে গিয়ে কেনাকাটা করতে অনেকেই ধার দেনা করতে হচ্ছে । তবুও বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ বলে কথা । কষ্ট করেও উৎসব কিন্তু ঠিকই প্রতিপালন করছে ।