জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- বর্তমান যুগে সকলেই পরিবারের সাথে সান্ধ্যকালীন সময় উপভোগ করার পর সামান্য মুখরোচক খাবারের জন্য রাজধানীর বুকে গড়ে ওঠা রেস্টুরেন্ট গুলিতে যান এবং সেখানে এরা সুস্বাদু মুখরোচক খাবার উপভোগ করেন। যদি এই মুখরোচোক খাবারের মধ্যে কোন প্রকার খাদ্য ভেজাল পরিলক্ষিত হয় সেখানে কিছুটা সময় উপভোগ করতে যাওয়া ভুজন রসিকদের মধ্যে কিরকম প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে সেটা পরিলক্ষিত হল গতকাল।
জানা যায় গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ রাজধানীর কামান চৌমুহনিস্থিত সুনামধন্য রেস্টুরেন্ট মিঠাইতে যান পেশায় এক শিক্ষিকা ওনার পরিবারের সাথে। সেখানে এরা যে খাবারটি রেস্টুরেন্টের পরিবেশকদের আনার জন্য আদেশ দেন খাবারটিতে দেখা যায় আস্ত একটি আরশোলা যা দেখে তাদের চক্ষু চরকগাছ হয়ে যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে রেস্টুরেন্টের ম্যানেজারকে ডেকে এনে ব্যাপারটি নিয়ে অভিযোগ জানালে সঙ্গে সঙ্গে ম্যানেজার ওই প্লেটটি সহ খাবারটি সরিয়ে নিয়ে যায়।
সৌভাগ্যবশত রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়া ওই দম্পতি প্লেটে থাকা খাবারটি সহ আরশোলাটির একটি ছবি তুলে রেখে দেয় প্রমানের জন্য। পরে সংবাদ মাধ্যমকে ওই শিক্ষিকা জানান আজকাল সকল অভিভাবকরা নিজেদের ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে যান খাবারের জন্য কিন্তু রেস্টুরেন্টের খাবারের মধ্যে যদি এ ধরনের ভেজাল দেখা দেয় তাহলে সাধারণ মানুষদের মধ্যে রেস্টুরেন্টের খাবার নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দেবে।
তাছাড়া আজকের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি জানান তিনি যখন এই বিষয়টি নিয়ে রেস্টুরেন্টের কর্তৃপক্ষ এবং কর্মরত কর্মচারীদের সাথে একা লড়াই করে যাচ্ছিলেন ঠিক তখনই তাদের পাশে বসে থাকা একটি পরিবারও তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এবং এই ব্যাপারটির নিয়ে রেস্টুরেন্টের কর্তৃপক্ষ এবং কর্মরত কর্মচারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাঁধ মিলিয়েছেন বলে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুনামধন্য রেস্টুরেন্ট মিঠাই এর খাদ্যগুণ নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে।