অসহায় গরিব কৃষকের লাউ ক্ষেত ধ্বংস করে দিল দুষ্কৃতী মিঠুন দাস। গোটা গ্রামের মানুষ ক্ষুব্দ।
জনতার কলম,ত্রিপুরা,বিশালগার প্রতিনিধি :- এক অসহায় গরিব কৃষকের 1 কানি লাউ ক্ষেত ধ্বংস করে দিয়েছে দুষ্কৃতী মিঠুন দাস। ঘটনা চরিলাম আর ডি ব্লকের অন্তর্গত চেচুড়ী মাই গ্রাম পঞ্চায়েতের এক নম্বর ওয়ার্ড থালা ভাঙ্গা এলাকায়। চেচুড়ী মাই গ্রামের থালা ভাঙ্গা এলাকা পাতা সবজির জন্য বিখ্যাত। এই এলাকা থেকে যদি বিশালগড় বিশ্রামগঞ্জ এবং চরিলাম বাজারে সবজি না আসে তাহলে বাজারে সবজির টান পড়ে যায় এমনটাই জানিয়েছেন গ্রামের মানুষজন। চেচুড়ী মাই গ্রামের থালা ভাঙ্গা এলাকার গরিব কৃষক মন্টু দাস তার নিজস্ব জমিতে 1 লক্ষ টাকা খরচ করে লাও খেত করেছেন বলে জানিয়েছেন। সবেমাত্র 14 টি লাউ বিক্রি করেছেন। শুরু হয়েছিল বিক্রি করা। গতকাল গভীর রাতে এলাকার মিঠুন দাস সমস্ত লাউ গাছের শিখর গুড়ি দিয়ে কেটে দে য়। যার ফলে সব লাউ গাছ মরে যায়। এবং দুষ্কৃতী মিঠুন লাউয়ের করা গুলিও কেটে দেয়। দুষ্কৃতী মিঠুন রাত্রিবেলায় যে মন্টু দাস এর লাউ ক্ষেতের দিকে যাচ্ছিল তা দেখে ফেলেছে একই এলাকার সুনীল দাস কালীপদ দাস এবং প্রমিলা দাস নামে তিনজন মানুষ। সকালবেলা যখন লাউ ক্ষেতের মালিক মন্টু দাস লাউ খেতে যান তখন সমস্ত লাউ গাছ মরে রয়েছে দেখে হাউমাউ করে চিৎকার করে ফেলেন এবং মন্টু দাস এর চিৎকারে গোটা গ্রামের মানুষ একত্রিত হয় লাউ খেতে। মন্টু দাস এর স্ত্রী মাথা চাপড়িয়ে কাঁদতে থাকেন। উনি বলেন কানের দুল বন্ধক দিয়ে গলার হার বন্ধক দিয়ে তারপরে লাউ ক্ষেত ক্ষেত করেছি। উনি আরো জানান কিছুদিন আগে রাস্তা নিয়ে মিঠুন দাস এর সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়েছিল। যার ফলে মিঠুন দাস আমার গাছ ধ্বংস করে দিয়েছে। গোটা গ্রামের মানুষ জানিয়েছে মিঠুন দাস চুর। সারা রাত্রি সে চুরি করে। এলাকার প্রতিটি বাড়ি থেকেই কোন না কোন সামগ্রী চুরি করেছে এমনটাই জানিয়েছে এলাকাবাসী। কারুর জমি থেকে করোলা তো কারোর জমি থেকে লাউ কারুর জমি থেকে পটল ঝিঙ্গে এবং এলাকাবাসীর পুকুর থেকে মাছ চুরি করে নিয়ে যায়। গোটা এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ মিঠুনের চুরির জ্বালায়। সে সারাদিন ঘুমিয়ে কাটায় আর রাত্রি হলেই মানুষের বাড়িতে মানুষের জমিতে এবং মানুষের পুকুরে চুরি শুরু করে। এলাকার কয়েকজন মানুষ আরও জানিয়েছেন তালা ভাঙ্গা এলাকায় জমিতে সেলুরপাইপপর্যন্ত কেটে নিয়ে যায় দুষ্কৃতী মিঠুন। গোটা গ্রামের মানুষ দুষ্কৃতী মিঠুনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। মন্টু দাস দুষ্কৃতী মিঠুন দাস এর বিরুদ্ধে বিশ্রামগঞ্জ থানায় মামলা করেছে। বিশ্রামগঞ্জ থানা থেকে এস আই শম্ভু লোন মিঠুন দাস কে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। অসহায় মন্টু দাস এখন ভেবে পাচ্ছেন না কি করে লাউ ক্ষেতের লোকসান পুষিয়ে উঠবেন। কারণ তিনি শ্রীর স্বর্ণের জিনিস বন্ধক দিয়ে তারপর লাউ ক্ষেত চাষ করেছেন। চেচুড়ী মাই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রদীপ দেব নাথ এবং উপপ্রধান তুলসীদাস এই ঘটনায় প্রচন্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং দুষ্কৃতী মিঠুন দাস এর কঠোর শাস্তির দাবি করেন। দুষ্কৃতী মিঠুন দাস কে কাছে পেলে হয়তোবা এলাকাবাসী নিজেরাই বিচারের মানদণ্ড হাতে তুলে নিতে পারে এমনটাই দেখা গিয়েছে ঘটনাস্থলে গিয়ে। প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ গোটা চরিলাম বিধানসভার মানুষ।