Site icon janatar kalam

পাথারকা‌‌ন্দি~আ‌ছিমগঞ্জ অং‌শের রাস্তার বেহাল দশা আজও বিরাজমান

জনতার কলম,ত্রিপুরা,চুড়াইবাড়ি,প্রতিনিধি :-আসাম আগরতলা ৮ নং জা‌তিয় সড়‌কের বেহাল দশা।গর্তে লাইমষ্টো‌নে লরি ফেঁসে সড়ক যোগা‌যোগ বি‌চ্ছিন্ন।জন দূ‌র্ভোগ চর‌মে।পাথর সংকটের নামে সংস্কারের কাজ বন্ধ। রা‌জ্যের লাইফ লাইন ব‌লে প‌রি‌চিত আট নং জা‌তিয় সড়কের অসমের পাথারকা‌‌ন্দি~আ‌ছিমগঞ্জ অং‌শের বেহাল দশা আজও বিরাজমান। দীর্ঘদিন ধ‌রে এ সড়ক‌টি সংস্কারের দাবিতে একের পর এক গণ আন্দোলন ধর্না সহ বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ ও অসম সরকার‌কে স্মারকপত্র প্রেরণের পরও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।উল্টো কেন্দ্রে ও অসম রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি রীতিমত একটি মরণ ফাঁ‌দে প‌রিণত হ‌য়ে জনজীবন বি‌ষি‌য়ে তো‌লে‌ছে।শ্রাবণের ঝিরঝির বৃষ্টিতে সড়কে কোনক্রমে পা টিকিয়ে রাখা দায় হয়ে পড়েছে প‌থিক‌দের।জল-কাঁদায় একাকার হ‌য়ে উঠ‌ছে পু‌রো পথঘাট।বল‌তে গে‌লে বেহাল এই অং‌শে ছোট যানবাহন চলাচল বন্ধ র‌য়ে‌ছে গত দীর্ঘদিন ধ‌রে।পুকুরসম বড় বড় গর্তের মি‌ছিলকৃত সড়‌কে ঝু‌কি নি‌য়ে চলাচল কর‌ছে দূরপাল্লাগামী লরি।তাও কয় ঘন্টা বির‌তির পর পর।কারন বড় বড় গ‌র্তে ল‌রি ফেঁসে প্রায় প্রতি‌দিন উক্ত র‌ু‌টে যানজট সৃষ্টি হওয়া এক নিত‌্য নৈ‌মি‌তিক ব‌্যাপার হ‌য়ে দাঁড়িয়েছে।এতস‌বের পরও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক‌টি নির্মা‌নে সম্পূর্ণভাবে উদাসীন দেখা‌চ্ছে কা‌জের বরাতপ্রাপ্ত উ‌ড়িশ‌্যার জ‌নৈক ঠিকাদার‌। হতে না হতেই অনুরূপভাবে লাইমস্টোন বোঝাই ত্রিপুরাগামী বারো চাকার দু‌টি ল‌রি সড়‌কের দু-ধারে ফেঁসে গিয়ে একইভাবে সড়‌কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি ক‌রেছে। সড়কের দুপাশে ত্রিপুরাগামী শতশত লরির দীর্ঘলাইন চোখে পড়ে।এ‌তে স্বাভাবিক ভাবে নাকাল হ‌চ্ছেন বি‌ভিন্ন যাত্রী সহ দ‌ুরপাল্লার ল‌রি চালকরা।পাথারকান্দির উত্তর থেকে দক্ষিণ রেলওয়ে গেইট অবধি পুরো বাজার এলাকায় একই অবস্থা বিরাজ কর‌ছে।বেহাল সড়‌কের জন‌্য রাজ্যের ব্যবসা-বাণিজ্য লাঠে উঠার উপক্রম দেখা দি‌য়ে‌ছে।জানা গেছে বর্হিরাজ্য থেকে মাল বোঝাই লরিগুলো এখা‌নে এ‌সে ফেঁসে যাবার পর তা তুলে দেবার নামে গাড়ি প্রতি চালকের কাছ থেকে নগদ তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্য‌্যন্ত সংগ্রহ কর‌ছে একটি চক্র। যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যেতে পারে রাজ্যে লাইফ লাইন একমাত্র সড়ক পথ। সুতরাং রাজ্য সরকার রাজ্যবাসীর কথা ও সামনে পূজো মরসুমের কথা মাথায় রেখে রাজ্যের একমাত্র সড়ক পথ অর্থাৎ রাজ্যের লাইফ লাইনের দিকে নজর রাখার দাবি এলাকাবাসীর।

Exit mobile version