জনতার কলম প্রতিনিধি, ত্রিপুরা, আগরতলা:- কুঞ্জবন বি টি কলেজ সংলগ্ন টিএসআর ক্যাম্পে রহস্যজনক মৃত্যু এক জওয়ানের। মৃত জওয়ানের নাম নারায়ন দে (৪০)। জওয়ানের মৃত্যুর পেছনে ব্যাটেলিয়ানে বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে মৃতের পরিবার। মৃত জওয়ানের ছোট ভাই পঙ্কজ দে অভিযোগ, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ছেলের অসুস্থতার জন্য নারায়ণ দে ব্যাটেলিয়ানের কমান্ডেন্টের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে রাজধানীর শালবাগানস্থিত হাতিপাড়া বাড়িতে যান। কিন্তু পরের দিন নারায়ণ দে কাছে ব্যাটেলিয়ানে কুন্দন সিং নেগি ফোন করে দেখা করার কথা জানান। সেই মোতাবেক জওয়ান নারায়ন দে ব্যাটেলিয়ানের কুন্দন সিং নেগির সাথে দেখা করলে ছুটি বিষয় নিয়ে একটা সময় বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন দুজনেই। আর বিতর্ক থেকে জওয়ান নারায়ন দে মেজাজ হারিয়ে কুন্দন সিং নেগির উপর হাত তুলে। পরবর্তী সময়ে জওয়ান নারায়ণের পরিবারে মা এবং তার স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে ব্যাটেলিয়ানের হর্তাকর্তা কুন্দন সিং নেগি জানান, নারায়নকে তার ভুলের জন্য শাস্তি অবশ্যই পেতে হবে। আর সেই মোতাবেক নারায়ণের বিরুদ্ধে বোধজং নগর থানায় মিথ্যা মামলা রুজু করা হয়। সে মোতাবেক ৪২ দিন নারায়ণকে জেলে থাকতে হয়। পরে জামিন পেয়ে কর্মস্থলে যোগদান করেন। তারপর থেকে জওয়ান নারায়ণকে মানসিক দিকে অত্যাচার করতেন ব্যাটেলিয়ানের কুন্দন সিং নেগি লোকজনেরা।এমনকি তাকে অনিয়মিত ডিউটি প্রদান করা হতো এবং তাকে খালি ঘরে আটকে রাখা হতো প্রায়ই বলে অভিযোগ মৃত জওয়ানের পরিবারের। এমনকি বুধবার সকালে বাড়ি লোকজনেরা নারায়ণ -এর কাছে ফোন করলে, জানানো হয় নারায়ণ আর নেই। ক্যাম্পে এসে যোগাযোগ করার জন্য। আর সেই মোতাবেক নারায়ণের পরিজনেরা ক্যাম্পে ছুটে এসে জানতে পারে, নারায়ণের মঙ্গলবার রাতে ২ টা পর্যন্ত সেন্ট্রি ডিউটি ছিল। আবার ভোর ৪ টা থেকে তার অনিয়মিত ডিউটি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর মাঝে সে ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু পরিবার পরিজনদের দাবি তাকে পরিকল্পিতভাবে মারা হয়েছে। পরবর্তী সময় এন সি সি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে এসে মৃতদেহ মর্গে পাঠায়। তবে এটা খুন নাকি আত্মহত্যা ধোঁয়াশায় পরিবারের লোকজনেরা। ঘটনায় মৃতের পরিবারের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।