জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- মানুষ মানুষের জন্য এই দিকটি রাজ্যের জনগণ বার বার প্রামানিত করেছেন। এটা দেখা গিয়েছে যে যখনই একটা সমস্যা হয় সে সমস্যার সমাধানে কিংবা যে কোন সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনে হাত বাড়ানো, রাজ্যের মানুষ সাথে সাথে সেই হাত প্রসারিত করেন। সেখানে আসার একটা তাগিদ অনুভব করেন। সেটা ১৯৭১ এর যুদ্ধে বা চিনের সাথে বা পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধে হউক না কেন কিংবা যে কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয়েই হউক না কেন রাজ্যের মানুষ বার বার এগিয়ে এসেছেন। এই রক্তদান কর্মসূচীতেও তা পরিলক্ষিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার আগরতলা পুর নিগমের মুখ্য কার্যালয়ে পৌর নিগম কর্মচারী সংঘের উদ্যোগে রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করে নিজের বক্তব্যে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা।এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে এই বিধানসভা নির্বাচনের সময় রাজ্যের ব্লাড ব্যাংক গুলিতে রক্তের স্বল্পতা দেখা দিয়েছিল। সেদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যখন তিনি সমাজের সর্ব স্তরের জনগণের কাছে রক্তদানের জন্য আহ্বান করেছিলেন সেদিনও এগিয়ে এসেছে রাজ্যের জনগণ।এই রক্তদান মহৎ দাণ। তার বিকল্প কোন দিনই হবে না। ঈশ্বরের এই মহৎ দিকটি আমাদের শরীরের মধ্যেই আছে। আমরা অনেক দাণ করি। কিন্তু এর থেকে মহৎ দাণ আর কিছু হতে পারে না বলেও এদিন তিনি উল্লেখ করেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী রক্তদাতাদের উদ্দেশ্যে বলেন তাদের এই মহৎ দাণ সেই মুমূর্ষু রোগীদের জন্য। এক জনের রক্তে চার জনের প্রান বাঁচে। চিকিৎসকরাও পর্যাপ্ত পরিমাণ রক্তের যোগান না হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন রোগীর অস্ত্রপচারে নামেন না। আর এইচ নেগেটিভ ফ্যাক্টর রক্ত যদি ব্লাড ব্যাংকে মজুত থাকে তবে অনেক সুবিধে হয়। সেই ভাবে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে জনগণ রক্তদানে এগিয়ে এসেছেন। তা সত্যিই অভূতপূর্ব বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান ২০২২ -২৩ শে রাজ্যের ব্লাড ব্যাংকে ৪২ হাজার ইউনিট রক্ত মজুত ছিল। এ বছরও সেই দিশায় চলছে বলে জানান তিনি। এদিন যারা রক্তদান করেছেন তিনি তাদের ধন্যবাদও জানান। এদিন এই রক্তদান উৎসবে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য প্রমুখ। এদিন উল্লেখ যোগ্য সংখ্যায় রক্তদান করা হয়।