জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- গত ২৫ বছরের বাম শাসনে নেশায় ভরপুর হয়েছে রাজ্য। নেশার বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে, নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়তে এগিয়ে আসতে হবে কমিউনিটি হেলথ অফিসাররাও। আহ্বান রাখলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী রাজীব ভট্টাচার্য। B২৫ বছরের বাম জমানায় নেশার স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছিল এই ত্রিপুরা। রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই নেশা মুক্ত ত্রিপুরার ডাক দেওয়া হয়েছিল। আর এই কাজে সামিল হয়েছে সমাজের সকল অংশের মানুষ। তারপরেও ২৫ বছরের কুলুষিত যুব সমাজকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না নেশার করাল গ্রাস থেকে। সরকার শুধু নেশা মুক্ত ত্রিপুরার ডাক দিলেই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। তার জন্য এগিয়ে আসতে হবে সমাজেরসকল অংশের শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ। শুক্রবার অল ত্রিপুরা কমিউনিটি হেলথ অফিসারদের সম্মেলন বক্তব্য রাখতে গিয়ে কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিশিষ্ট সমাজসেবী রাজীব ভট্টাচার্য। শ্রী ভট্টাচার্য এই কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন কমিউনিটি হেলথ অফিসারদেরকেও। রাজীব ভট্টাচার্য এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নয় বছর কার্যকালের খতিয়ান তুলে ধরতে গিয়ে ত্রিপুরার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কল্যাণে উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বড় অক্সিজেন প্লান্ট হয়েছে আগরতলা আইজিএম হাসপাতালে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কল্যাণেই ত্রিপুরায় একটি হাইওয়ের জায়গায় বর্তমানে নয়টি হাইওয়ে হয়েছে। সমগ্র ত্রিপুরার রাস্তাঘাট এখন চকচকে অবস্থা। যেটা সাধারণ মানুষেরও চোখে পড়বে।
শ্রী ভট্টাচার্য আরো বলেন, আপনারা শুনলে খুশি হবেন, ২০২৫ সালের মধ্যেই আসাম আগরতলা জাতীয় সড়ক চার লেনে রূপান্তরিত করার কাজ শুরু হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই সার্ভের কাজ শেষ করে ডিপিআর তৈরি হয়ে গেছে এই রোডের। রাজীব ভট্টাচার্য এদিন কমিউনিটি হেলথ অফিসারদের উদ্দেশ্য বলেন, সংঘটিত শক্তি হচ্ছে আমাদের একমাত্র মুক্তির রাস্তা। তাই সমস্ত কমিউনিটি হেলথ অফিসাররা একই প্লাটফর্মে এসে রাজ্য উন্নয়নের ভাগীদার হতে হবে। এদিনের সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, তাপস ভট্টাচার্য, অমিত রক্ষিত সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা।