Site icon janatar kalam

রাজ্যে ফিরেছে মণিপুরে থাকা ছাত্র-ছাত্রীরা ধন্যবাদ মুখ্যমন্ত্রীকে

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- কোলে ছয় মাসের শিশু সন্তানকে নিয়ে ইন্টারন করা ডাক্তার সামা সুলতানা রীতিমতো আতঙ্কে ছিলেন, বলছিল মুভিতে দেখেছি বাস্তবে দেখে মনে হয়েছিল মৃত্যু যেন দোরগোড়ায়। তবে ফিরে এসে মহান বলে অভিহিত করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে।
ডাক্তার নবনীতা চক্রবর্তী, আর ডাক্তার শ্যামা সুলতানা দুজনেই ৬-৭ মাসের বাচ্চা কোলে নিয়ে ইন্টার্ন করছিল মনিপুরের রিম্সে। তাছাড়াও ছিল অন্বেষা মজুমদার, সপ্তম ভৌমিক সহ ১৮২ জন ছাত্রছাত্রী। তাদের অধিকাংশই রিমসে বিভিন্ন সেমিষ্টারে পড়াশোনা করছিল। অনেকে আবার ইনট্রান করছিল। কেউ কেউ করছে পিজি কোর্স। গত দু-তিনদিন ধরে তাদের প্রত্যেকের কাছে মনে হয়েছিল হিন্দি মুভি যেন বাস্তবে অনুভব করেছে ছাত্র-ছাত্রীরা। মৃত্যু যেন তাদেরকে হাতছানি দিয়ে রেখেছিল। ঘুম খাওয়া সব যেন স্বাভাবিক জীবন থেকে উড়ে গিয়েছিল। এ এক দুর্বিষহ যন্ত্রণা, একদিকে গুলির শব্দ, অন্যদিকে বোমার আওয়াজ, মাঝে মাঝে গুজব ছড়িয়ে পড়ছে, এক্ষুনি আক্রমণ হবে হোস্টেলে। আতঙ্কে আধমরা ছাত্র-ছাত্রীরা আগরতলা এমবিবি বিমানবন্দরে পৌঁছে যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল। অভিভাবকরা কেউ কেউ আবেগে আপ্লুত হয়ে কেঁদেই ফেলেছে। প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যদের। শুধু মন্ত্রিসভা নয় বিজেপি সরকারেরও উচ্চ প্রশংসা করেছেন অভিভাবকরা। ছাত্র-ছাত্রীদের অনেকের ভাষায় তারা যেন নতুন জীবন পেয়েছে। নিজেদের চোখে দেখা আতঙ্কের বর্ণনা দিতে দিতে বারবার ধন্যবাদ জানাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। বলছেন এত অল্প সময়ে সরকারিভাবে তারা এসে রাজ্যে পৌঁছবেন, সেটা ভাবতেই পারেনি, গভীর রাতে ছাত্রছাত্রীদের স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। মন্ত্রী স্বাগত জানান ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি ধন্যবাদ জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, মনিপুরের মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে। আসুন আমরা সরাসরি শুনবো রাজ্যে ফিরে কি অনুভূতির কথা জানাচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীরা। যারা গভীর উৎকণ্ঠায় গত তিনদিন হোস্টেলের ভিতরে প্রায় বন্দি দশায় ছিল। প্রসঙ্গত মনিপুর থেকে রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের ফিরিয়ে আনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা,, দফাওয়ারী কথা বলেছিলেন, মনিপুরের মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ আধা সামরিক বাহিনীর আধিকারিকদের সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত বিমান ভাড়া করে সম্পূর্ণ সরকারি খরচে মেডিকেল ও এগ্রিকালচার পরোয়া ছাত্রছাত্রীদের রাজ্যে ফিরিয়ে এনেছেন। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন অভিভাবকরা।

Exit mobile version