জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- মণিপুরের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বিগ্ন সেই রাজ্যে পাঠরত ত্রিপুরার ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা। মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস পেয়ে ফেলেছে স্বস্তির নিঃশ্বাস। টিআরটিসিতে ভিড় জমিয়েছে ফ্লাইটের টিকেট কাটতে। গত ৩ মে মণিপুরে একটি আদিবাসী সংগঠনের প্রতিবাদ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে তীব্র অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে৷ সেই ঘটনার জেরে হিংসাত্মক ঘটনা শুরু হয়৷ তাতেই শান্তি ফেরাতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন মণিপুরের রাজ্যপাল৷ বৃহস্পতিবার মণিপুরের রাজ্যপালের পক্ষ থেকে দেখা মাত্র গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ মণিপুরের রাজ্যপালের পক্ষ থেকে যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সাব-ডিভিশনাল অফিসার ও সমস্ত একজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও স্পেশাল এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের এই নির্দেশ কার্যকর করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে৷ এদিকে মনিপুরে ত্রিপুরার বেশ কিছু মেডিকেল এবং এগ্রিকালচারে পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে।ঘটনায় গভীর উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা।মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা: মানিক সাহা ঘটনার খবর পেয়েই কথা বলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন্ বীরেন সিং ও দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাথে। দাবি জানান মনিপুরে পাঠরত রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের যাতে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়া হয়।পাশাপাশি তারা বাড়িঘরে ফিরতে চাইলে যাতে করে, কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মাধ্যমে ফ্লাইটে তুলে দেওয়া হয়। শনিবার টি আর টিসিতে আশা অভিভাবকরা, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগের ভুয়সি প্রশংসা করেছেন। তাদের বক্তব্য যতক্ষণনা পর্যন্ত ছেলেমেয়েরা রাজ্যে এসে পৌঁছাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত টেনশন থেকেই যাবে। আসুন শুনব কি রকম উদ্বিগ্নের মধ্যে কাটাচ্ছেন অভিভাবকরা।শনিবার ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা সন্তানদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনতে ফ্লাইটের টিকেট কাটার জন্য টিআরটিসিতে এসে ভিড় জমিয়েছে। তবে এদিন অনেকেই টিকেট করে উঠতে পারেননি।। এদিকে রাজ্য সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করায় বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অনেকেই।প্রসঙ্গতএখনও পর্যন্ত ৫ ব্যাটেলিয়ান সেনা ও অসম রাইফেলস-এর সেনা মণিপুরে মোতায়েন করা হয়েছে৷ আরও ১৪ ব্যাটেলিয়ান সেনা আপাতত প্রস্তুত রাখা হয়েছে৷ এখনও পর্যন্ত ৯ হাজার মানুষকে উপদ্রুত এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে৷ তাঁদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ আরও অনেক মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে বলে খোঁজ মিলেছে৷ বুধবার ‘ট্রাইবাল সলিডারিটি মার্চ’ নােম একটি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে চুরচন্দপুরে দফায়-দফায় সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল ৷