জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- রাজ্যেরপর্যটন শিল্পকে আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছানোর মাধ্যমে পর্যটন দপ্তরকে বেকার নিয়োগের একটা ক্ষেত্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়াস নিয়ে কাজ করছে সরকার। বললেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। রাজধানী আগরতলায় অনুষ্ঠেয় জি-টোয়েন্টি সম্মেলনকে সামনে রেখে জোর প্রস্তুতি চলছে পর্যটন দপ্তরে। দুদিনের এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শহরের রাস্তাঘাট আলোক মালায় সাজানো হচ্ছে। জি ২০ প্রতিনিধি দল যেখানেই যাবে সেখানেই লাগানো হচ্ছে রং। ঢেলে সাজানো হচ্ছে রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী দর্শনীয় স্থানগুলি। অতিথি আপ্যায়নের ত্রুটি রাখা হচ্ছে না। আগামী তিন ও চার এপ্রিল সম্মেলন হতে চলছে। বিশেষ করে রাজ্যের যে সমস্ত স্থানগুলি জি-টোয়েন্টি দেশের প্রতিনিধিগণ পরিদর্শন করবেন সেগুলিকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় কোলে তোলা হচ্ছে। হাঁপানিয়াস্থিত আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণের ইনডোর প্রদর্শনী হলে জি-টুয়েন্টি বিজ্ঞান সম্মেলনের মূল অনুষ্ঠান হবে। এই সম্মেলনের মূল থিম হচ্ছে ক্লিন এনার্জি ফর এ গ্রিনার ফিউচার। শুক্রবার মন্ত্রী হওয়ার পর প্রথমবারের মত পর্যটন নিগমে দপ্তরের সচিব অধিকর্তা আধিকারিকদের নিয়ে রিভিউ বৈঠকে বসেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী শ্রী চৌধুরী বলেন পর্যটন শিল্পকে আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছানোর লক্ষ্যে কাজ চলছে। পর্যটন শিল্পে বেকারদের ব্যাপক কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। মন্ত্রী বলেন সরকার চাইছে পর্যটন দপ্তরের উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি ঘটক। এই দপ্তরের প্রচার ও প্রসারে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী আরও বলেন, জি-টুয়েন্টি বৈঠক নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীও চূড়ান্ত ব্যস্ত রয়েছেন। গোটা মন্ত্রিসভা ,প্রশাসন এবং সমস্ত আমলা আধিকারিকরা চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে রয়েছে। বিশ টি দেশের প্রতিনিধিরা রাজ্যের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করবেন। রাজ্য সরকারও চেষ্টা করছে পর্যটন শিল্পকে তাদের মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে প্রচার ও প্রসার ঘটানোর। এদিন পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, আমরা প্রস্তুত রয়েছি বিশ্বের কুড়িটি দেশের প্রতিনিধিদের স্বাগত জানাতে। আমাদের বিশ্বাস এই জি-টোয়েন্টি বৈঠকের মাধ্যমে রাজ্যের পর্যটন শিল্পের আরও বিশেষ প্রচার প্রসার ঘটবে। পর্যটন মন্ত্রী বলেন, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় পর্যটন শিল্পকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রসাদ প্রকল্পে মাতা ত্রিপুরার সুন্দরী মন্দিরকে চল্লিশ কোটি টাকায় সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। এছাড়াও স্বদেশ দর্শন ওয়ান হয়ে গেছে।সরকারের পক্ষ থেকে স্বদেশ দর্শন ২ এর জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। উজ্জয়ন্ত রাজপ্রাসাদস্থিত শ্বেত মহলে পর্যটন নিগমের সদর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দপ্তরের সচিব সহ অধিকর্তা ও আধিকারিকগণ। মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী পর্যটনের বিকাশে সমস্ত অংশের কর্মচারীদের সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছেন।