Site icon janatar kalam

মাতা পিতাহীন অজানা ভবিষ্যতের পথে বছর ১০এর হিমানী

এক হৃদয় বিদারক করুন ঘটনার দৃশ্য প্রত্যক্ষ করলো চরিলাম বাসী। অবুঝ শিশু বালিকা হিমানী দেবনাথ। 10 বছরের হিমানী পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী। তার বাড়ি বিশালগড় মহকুমারের চরিলাম বিধানসভার ছেচরিমাই গ্রাম পঞ্চায়েতের 6 নং ওয়ার্ড বালুয়া ছড়িতে। জন্মের পরই জন্মদাতা পিতা নিবাস দেবনাথ জীবন থেকে হারিয়ে যায়। এরপর একে একে দাদু/ ঠাকুমা ও পরলোক গমন করেন। মাতৃ পক্ষেরও ঘনিষ্ঠ কোন আত্মীয় ও নেই। হিমানীর মা কমলাদেবী একমাত্র মেয়েকে নিয়ে জীবন সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। কঠিন বাস্তবের মুখোমুখি হয়ে জীবনে রক্ষার তাগিদে সংসার চালাতে গিয়ে অবুঝ মেয়েকে নিয়ে কতই না কষ্ট করেছেন সেই ইতিহাস গোপন থাকাই ভালো। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। এই মানব সংসারে অবুঝ শিশু হিমানীর একমাত্র সম্বল জন্মদাত্রী মা গত সাতদিন আগে চিরতরে বিদায় নেয়। সুগার সহ বিভিন্ন কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে হিমানীর মা কমলাদেবী। টাকা পয়সার অভাবে উন্নত মানের চিকিৎসা তো দূরের কথা। এই কঠিন পরিস্থিতিতে স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে ওষুধ বড়ি কেনার জন্য সামান্য সাহায্য ও করা হয়েছিল।কিন্তু অদৃশ্য শক্তি নিয়তির লিখন অনেক লড়াই-সংগ্রাম করেও অবশেষে গত সাতদিন আগে তিনি মারা যান। একেবারে সহায়-সম্বলহীন অনাথ হয়ে পড়ে 10 বছরের নাবালিকা কন্যা হিমানী। সামাজিক সংস্কার ও ধর্মীয় রীতিনীতি সম্পূর্ণভাবে বোঝার ক্ষমতা হয়তো এখনো তার হয়নি। কিন্তু মায়ের শ্রাদ্ধ তো করতে ই হবে। বর্তমানে হিমানীর পারিবারিক সম্পত্তি বলতে শুধুমাত্র একটি বসতঘরের ভিটেমাটি।মায়ের শ্রাদ্ধের জন্য পাড়ার কয়েকজন মানুষের সহযোগিতায় চরিলাম বাজারে দোকানে দোকানে হাত পেতে টাকা চাইছে হিমানী। দুই হাত জোড় করে দোকানে দোকানে গিয়ে অবুঝ শিশুটি বলছে আমার মায়ের শ্রাদ্ধের জন্য কিছু সাহায্য দিন।এই দৃশ্য কতটা হৃদয়বিদারক হতে পারে তা হয়তো নিজের চোখে প্রত্যক্ষ না করলে অনুমান করা যাবে না। কি হবে তার ভবিষ্যৎ? কে নেবে তার দায়িত্ব? পঞ্চম শ্রেণীর এই ছাত্রীটিকে যদি সরকার সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে হয়তো পিতৃ-মাতৃহীন হিমানী বাঁচার সম্বল টুকু পেতে পারে। এলাকাবাসীর ও দাবি সরকার যেন এই মেয়েটির দিকে একটু দৃষ্টিপাত করেন। আজ বিশালগড় প্রেসক্লাব তরফ থেকে এই মেয়েটির পরিবারের যারা অবশিষ্ট আছেন তাদের হাতে তিন হাজার টাকা তুলে দিলেন ।

Exit mobile version