জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- পাহাড়ে দিবঙ্গ ভাতা নিয়েও চলছে হয়রানি। ১৩ বছর বয়সী রুমি সারাদিন বিছানায় শয্যাশায়ী হয়ে থাকে। নেই কোন সরকারি সহায়তা। এ এক করুন কাহিনী। ভোট আসে, ভোট যায় কিন্তু রুমি’র কপালে জুটলো না দিবাঙ্গ ভাতা। ভাতা টুকু পাওয়ার জন্য রুমি’র বাবা তিপ্রামথা’র নেতাদের কাছ থেকে পেয়েছে শুধু আশ্বাসের বাণী। দিন দরিদ্র পরিবার’টি জরাজীর্ণ কুটিরে থেকে কায়ক্লেশে’র মধ্যে দিয়ে বসবাস করছেন। এমনটাই ঘটনা প্রত্যক্ষ করা গেল মানিক দেববর্মা এ.ডি.সি ভিলেজের ১নং ওয়ার্ডের খাসিয়া মঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় ।,, তেলিয়ামুড়া মহকুমা’র মুঙ্গিয়াকামী ব্লকের অধীনস্থ মানিক দেববর্মা পাড়া এ.ডি.সি ভিলেজের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হরিরাই কলই বসবাস করছেন দীর্ঘ বছর ধরে। কিন্তু উনার পরিবারের ১৩ বছর বয়সি এক নাবালিকা কন্যা ও রয়েছে। সে দিবাঙ্গ অবস্থায় বিছানায় শয্যাগত। বিনা চিকিৎসায় নিজ ঘরে পরে রয়েছে সেই ১৩ বছর বয়সি রুমি। বাবা হরিরাই কলই তার মেয়ের চিকিৎসা করাতে পারছেন না আর্থিক প্রতিকূলতার কারণে। কেননা হরিরাই কলই পেশায় একজন দিনমজুর। সেই কারণে হরিরাই কলই তার মেয়ের চিকিৎসার জন্য এবং দিবাঙ্গ ভাতা পাওয়ার জন্য এ.ডি.সি প্রশাসনের দারে দারে ঘুরেছিলেন। কিন্তু ভাতা জূটেনি কপালে । যার ফলে দিবাঙ্গ রুমি কলই বর্তমানে অসুস্থ হয়ে বিনা চিকিৎসায় নিজ ঘরে । আর অসহায় পিতা হরিরাই কলই এক প্রকার সবকিছুই দেখে নিরুপায় হয়ে সহ্য করে যাচ্ছেন। বিগত এ.ডি.সি ভোট পর্ব ফুরিয়ে আবার রাজ্য বিধানসভার নির্বাচনও দোরগোড়ায়। কিন্তু রুমি কলই যে বর্তমানেও দিবাঙ্গ ভাতা পেল না। উল্টো অসুস্থ অবস্থায় রুমি কলই বিছানায় শয্যাগত বর্তমানে। যদিও ঘটনাটি ২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রের বর্তমান বিধায়ক ডা: অতুল দেববর্মা। তিনি সবকিছু জেনে শুনেও হরিরাই কলই-এর বাড়িতে খোঁজ খবর নিয়ে সামান্য সহানুভূতি জানানোর ও প্রয়োজনটুকু মনে করেন’নি।