Site icon janatar kalam

মজলিশপুরে সুশান্ত ম্যাজিক, হেভিওয়েট জনজাতি নেতা শুভামণি দেববর্মাসহ ৭৭পরিবারের ২৪৭ জন ভোটার বিজেপিতে

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- মজলিশপুরে ফের চমক দেখালেন ১০-মজলিশপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজের ঘর গোছানোর প্রস্তুতি জোরকদমে শুরু করে দিয়েছেন শ্রী চৌধুরী। বুধবার জিরানীয়া ব্লক উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান তথা এলাকার হেভিওয়েট জনজাতি নেতা বলে পরিচিত শুভামণি দেববর্মাকে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বড় চমক দেখালেন মজলিশপুরের বিধায়ক। ২০২৩ সালে রাজ্যে বিধানসভার ভোটের আগে নিজের বিধানসভা কেন্দ্র ১০-মজলিশপুরে একের পর এক যোগদান সভার মাধ্যমে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা গত বিধানসভা নির্বাচনে মজলিশপুর কেন্দ্রের বিজিত সিপিআই(এম) দলের প্রার্থী মানিক দে’র সাংগঠনিক কোমর একেবারে ভেঙ্গে ফেলেছেন সুশান্ত চৌধুরী। সুশান্ত চৌধুরী বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই মজলিশপুর কেন্দ্রে রাজ্যের অন্যতম শক্তিশালী বিরোধী দল সিপিআই(এম)এখন ক্ষয়িষ্ণু শক্তি । গোটা মজলিশপুর কেন্দ্রে সিপিআই(এম) দলের নেতাদের এখন দূরবীন দিয়েও দেখা যায় না! বুধবার আরও একবার মজলিশপুর কেন্দ্রের শঙ্করবাজারে মজলিশপুর মন্ডলের উদ্যোগে আয়োজিত এক যোগদান সভায় সিপিআইএম ও আই.পি.এফ.টি দল থেকে বিজেপি দলে যোগ দিলেন ৭৭টি পরিবারের ২৪৭ জন ভোটার। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন মজলিশপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। সভায় দলত্যাগীরা অভিযোগ করে বলেন, “সিপিআই(এম) দলে থেকে কোনও উন্নয়নমূলক কাজ করা যায় না, শুধুই হিংসা আর বিভেদের রাজনীতি করে সিপিআই(এম)দল। হিংসা আর উস্কানিমূলক রাজনীতি আমরা আর চাই না”, এমনই অভিযোগ তুলে গ্রাম তথা গ্রামের মানুষের উন্নয়নের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে এবং সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী’র “সবকা সাথ সবকা বিকাশ” -এর উপর আস্থা রেখে দীর্ঘবছরের বামেদের অপশাসনে লাঞ্ছিত ও বঞ্চিতরা সিপিআই(এম) ও আই.পি.এফ.টি দল ছেড়ে জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেছে। যোগদান সভায় মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, সিপিআই(এম) দলেও কিছু নীতিবান ও ভালো লোক রয়েছেন। যাঁদের রাজ্যের এবং নিজের এলাকার জন্য ভালো ও উন্নয়নমূলক কাজ করার ইচ্ছে ও মানসিকতা রয়েছে, কিন্তু সিপিআই(এম) দলে থেকে তারা হাঁপিয়ে উঠেছেন। আমাদের দলে এই ধরণের মানুষদের জন্য দ্বার সবসময়ই খোলা রয়েছে।মন্ত্রী বলেন, যোগদান সভায় যারা বিজেপি দলের পতাকা হাতে নিয়েছেন তাঁদের যোগ্য সম্মান দিয়ে এলাকায় সংগঠনের সামনের সারিতে এনে সবার সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার সুযোগ করে দেওয়া হবে। আমাদের মজলিশপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রত্যেকটি বুথে “ঘরে ঘরে বিজেপি” অভিযানের মাধ্যমে জনসংযোগ ও নানা ধরণের দলীয় কর্মসূচি নিয়মিতভাবে চলছে। এলাকার দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের স্বার্থে দলীয় সংগঠন মজবুত করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। মানুষকে বঞ্চিত করে ভারতীয় জনতা পার্টি রাজনীতি করে না। দলের লক্ষ্য হল সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস ও সবকা প্রয়াস। আর সেই দিশা ও লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার। বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর রাজ্যে শান্তি সম্প্রীতি ও ঐক্য এসেছে। এগুলি যদি আগেই প্রতিষ্ঠা থাকতো তাহলে রাজ্য থেকে কমিউনিস্টদের বিদায় ঘন্টা বাজত না বলে জানান শ্রী চৌধুরী। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রান্তে দলীয় মতাদর্শগত পার্থক্যের উর্ধ্বে অসহায় মানুষদের ত্রাণ পৌঁছানোর পাশাপাশি নিজের সংগঠনকে মজবুত করার কাজও শুরু করেছিলেন এলাকার বিধায়ক সুশান্ত চৌধুরী। শারদীয়া দুর্গোৎসবের প্রাক্কালে এলাকার মা-বোনদের মধ্যে তিনি শাড়ী বিতরণ করেছিলেন। এ দিনের যোগদানের মধ্য দিয়ে দলীয় সংগঠনকে শক্তিশালী করে ২০২৩ এর ভোট যুদ্ধে নামার আগে নিজের শক্তি আরেকটু বাড়িয়ে ফেললেন সুশান্ত চৌধুরী। এদিন যোগদান সভায় কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি’র সদর গ্রামীণ জেলার সভাপতি অসিত রায়, সহ-সভাপতি পিন্টু দেববর্মা, মজলিশপুর মন্ডলের মন্ডল সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক, জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান প্রীতম দেবনাথ সহ দলীয় কার্যকর্তারা।

Exit mobile version