জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- টেট উত্তীর্ণদেরপুজোর উপহার কিছুদিনের মধ্যেই হাতে অফার পেতে চলেছে শিক্ষকতার। ইঙ্গিত দিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেব বর্মন। আন্দোলন, ধরনা , বিক্ষোভ , ডেপুটেশন , সৌজন্য সাক্ষাৎকারে নাজেহাল রাজ্য প্রশাসন। শান্তিতে নেই মন্ত্রীরা পর্যন্ত। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই দেখতে পায় বাড়ির সামনে বেকারদের দীর্ঘ লাইন। এ এক অসহনীয় জীবনশৈলী। হয় শিক্ষা মন্ত্রী,নয় শিক্ষা দপ্তর , হয় অর্থমন্ত্রী, নয়তোবা মুখ্যমন্ত্রী , কেউ কেউ আবার মহাকরণ অভিযানে যাচ্ছে। সরকারকে রক্ষা করতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছে পুলিশ প্রশাসন। পুলিশে জনতায় হচ্ছে সংঘর্ষ। সরকারের নির্দেশ পালন করতে গিয়ে পুলিশ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে বেকার যুবক-যুবতীদের সাথে। বাধ্য হচ্ছে অ্যারেস্ট করে টেনে হিঁচড়ে গ্রেপ্তার করতে। বেকারদের একমাত্র গ্রেপ্তার হতে হয়নি অর্থমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে।অর্থমন্ত্রী টেট উত্তীর্ণ বেকার যুবক যুবতীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে খুব শীঘ্রই তাদের হাতে অফার পৌঁছে যাবে বলে আশ্বাস দেন। এদিকে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী তথা উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেব বর্মন এর সাথে দেখা করে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে টেট উত্তীর্ণ বেকার যুবক যুবতীরাও। তারা অর্থমন্ত্রীর কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রী, ও অর্থমন্ত্রীকে। বলেন রাজ্যের উন্নয়ন বিশেষ করে শিক্ষার উন্নয়নে তারাও সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে চাইছে। এদিন অর্থমন্ত্রীর বাড়ির সামনে গিয়ে বেকার যুবক যুবতীরা প্রথমে পুলিশি বাধার মুখে পড়লেও পরমুহূর্তে অর্থমন্ত্রী জিষ্ণু দেব বর্মন নিজে বেকার যুবক-যুবতীদের ডেকে পাঠিয়েছেন। রীতিমতো বেকারদের পিঠ চাপড়ে বলেছেন, চাকরি চাওয়া এটা ওদের নৈতিক অধিকার , চাকরি তো তারা সরকারের কাছে চাইতেই পারে। তাই বলে তারা মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারবে না কেন। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর এই ব্যবহারে রীতিমতো আপ্লুত হয়ে পড়েছে বেকার যুবক যুবতীরা।