Site icon janatar kalam

বিপ্লব কুমার দেবে’র কাছ থেকে স্ব-উদ্যোগে স্বাবলম্বী হওয়ার অনুপ্রেরণা পেয়ে স্বাবলম্বী এক যুবক

তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি :- শুধুমাত্র সরকারি চাকুরি নয়, মনের উদ্যম প্রাণোচ্ছল ইচ্ছাশক্তি থাকলেই যে কঠিন বাস্তবের ভূমিতেও সব সম্ভব এমনকি সরকারি চাকুরি ছাড়াও যে সামান্যতম স্বল্প পরিসরে নিজ পরিশ্রমের ফলেই কৃষি নির্ভর হয়েও স্বাবলম্বন হয়ে উঠা যায় তারই এক অনন্য নজির গড়ে তুললেন তেলিয়ামুড়া মহকুমার অন্তর্গত কমলনগর নাথ পাড়ার দীর্ঘ দিনের স্থানীয় বাসিন্দা দরিদ্র জীবি কৃষক শ্যাম সুন্দর দেবনাথ । উল্লেখ্য, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বিধায়ক বিপ্লব কুমার দেবে’র কাছ থেকে স্ব-উদ্যোগে স্বাবলম্বী হওয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েই বহিঃরাজ্যের উল্লেখযোগ্য সু-স্বাদু ফল ড্রাগন সহ সৌদি খেজুর এবং কাশ্মীরি আপেল কুল চাষ করে বর্তমানে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন কৃষক শ্যাম বাবু । বিবরণে প্রকাশ, শ্যাম সুন্দর বাবু বিগত ২০১৯ সালের জুলাই মাসে বহিঃরাজ্য পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় গিয়ে বীরভূম জেলা থেকে উল্লেখযোগ্য সু-স্বাদু ফল ড্রাগন, সৌদি খেজুর, ও কাশ্মিরী আপেল কুল, মহারাষ্ট্রের সোলা পুড়ি লাল আনা সহ বিভিন্ন বহু মূল্যবান ফলাফল চাষাবাদে হাতে কড়ি ব্যক্তিগত প্রশিক্ষণ নিয়ে কিছু চারা গাছ ক্রয় করে আনেন । পরবর্তীতে তাঁর বসত ভূমির পাশেই নিজের এক কানি বিশিষ্ট খালি জমিতে দিন রাত আক্লান্ত কঠোর পরিশ্রমের ফলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা করে এই সমতল ভূমি বিশিষ্ট খালি জমির উপর মোট ১০০ টি পিলারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সু-স্বাদু ফল ড্রাগন সহ কাশ্মীরি আপেল কুল ও সৌদি খেজুর চাষ করার জন্য পুরোদমে প্রস্তুতি শুরু করে দেন । কিন্তু মাত্র ৩ বছরের মধ্যেই নিজের উদ্যমে কঠিন পরিশ্রম ও প্রবল ইচ্ছা শক্তির ফলেই আজ মোটামুটিভাবে তিনি ফল চাষাবাদে ক্রয়-বিক্রয়ে একপ্রকার স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন বলা চলে । যদিও এই ফল চাষাবাদে এখনো পর্যন্ত তাঁর মোট খরচ হয়েছে প্রায় ২ থেকে ৩ লক্ষাধিক টাকার উপর । যদিও এই দিকে আবার ড্রাগন ফলের বিপুল চাহিদা ও বিপুল পরিমাণে বিক্রিও শুরু হয়ে গেছে বলে জানায় সে । সে এই ড্রাগন ফল গুলো প্রতি ৩ মাস পর পর তুলে রাজধানী আগরতলায় গিয়ে পাইকারি মালিকদের কাছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করে । যদিও এখনো পর্যন্ত সু-স্বাদু ড্রাগন ফল বিক্রি করে কয়েক লক্ষাধিক টাকার অর্থ উপার্জন করে সে । পরবর্তীতে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এক সাক্ষাৎকারে কৃষক শ্যাম বাবু জানায় — “জীবনে কোন কিছু করতে গেলে নিজের মধ্যে আত্ম বিশ্বাস থাকাটা খুবই জরুরি । তবে শুধুমাত্র সরকারী চাকুরীর উপর ভরসা করে জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট করে দেওয়া ঠিক নয় — ঠিক এমনটাই বার্তা দেন বর্তমান বেকার যুবকদের প্রতি । তবে এইদিকে আবার তিনি পরবর্তীতে অনেকটা বেদনার সুরে বলেন যে, বিগত দীর্ঘ ৩ বছর যাবৎ শুধুমাত্র নিজ উদ্যোগে নিজ অধ্যাবসায় এই ড্রাগন ফল চাষাবাদ করে চললেও এখনো পর্যন্ত দরিদ্র জীবি কৃষক শ্যাম সুন্দর দেবনাথ ত্রিপুরা সরকারের কাছ থেকে কোনরকমই সাহায্য সহযোগিতা কোন কিছুই পান নি । কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো, ড্রাগন ফলের এই চাষাবাদকে আগামী দিনে আরও শ্রী-বৃদ্ধি করতে গেলে আরও অনেক পরিমাণে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে অর্থ বিনিয়োগ করা প্রয়োজন । কিন্তু বর্তমানে ত্রিপুরায় অগ্নি মূল্যের বাজারে আগামী দিনগুলোতেও কিভাবে তাঁর এই বিশাল চাষাবাদকে বাঁচিয়ে রাখবেন তা নিয়ে খুবই চিন্তিত তিনি । তবে তিনি এখন শুধুমাত্র রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার কাছে মূলতঃ একটাই দাবি রাখছেন মানিক বাবুর সরকার যেন অতি শীঘ্রই শ্যাম বাবুর চাষাবাদের মাধ্যমে স্বাবলম্বন হয়ে টিকে থাকতে সরকারী সাহায্যে অর্থ বিনিয়োগের ব্যাপারটির বিষয়ে যেন কোন রকম উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণ করেন । তবে এখন শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সচেতন মহল জুড়ে একটাই গুঞ্জন চলছে, তেলিয়ামুড়া মহকুমার অন্তর্গত মোহরছড়া কমল নগরের স্থায়ী বাসিন্দা জৈনক কৃষক শ্যাম সুন্দর দেবনাথের উপরে যদি ত্রিপুরা সরকারের কিছুটা সাহায্য সহযোগিতা আরোপিত হয়, তাহলে হয়তো আগামী দিনে কমল নগরের জৈনক পরিশ্রমী ও উদ্যমী কৃষক শ্যামসুন্দর দেবনাথ গোটা রাজ্যের বেকার যুবক যুবতীর স্ব-উদ্যোগে স্বাবলম্বী হওয়ার ক্ষেত্রে একটা প্রকৃষ্ট উদাহরণের শিরোনাম হয়ে দাঁড়াতে পারবে ।

Exit mobile version