জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধিঃ- আগামী ৭-ই জুলাই থেকে পুরাতন আগরতলার চতুর্দশ দেবতাবাড়িতে শুরু হতে যাচ্ছে খার্চি পূজা। তা চলবে সাত দিন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার খয়েরপুরের গীতবিতান হলঘরে পুরাতন আগরতলার চৌদ্দ দেবতা মন্দিরের জাতি-জনজাতির মিলন উৎসব “খার্চি পূজা উৎসব-২০২২” নিয়ে আয়োজিত হয় এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। এদিন তিনি বলেন প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও গোটা চতুর্দশ দেবতা মন্দির নতুন রংয়ে রাঙিয়ে তোলা হবে। মন্দিরসহ হাবেলি পার্ক, মিউজিয়াম, হাবেলি লেক নানা রংয়ের আলোকমালায় সাজানো হবে। এ বছর খার্চি পূজা উৎসব ও মেলায় সহস্রাধিক দোকানীরা তাদের পসরা সাজিয়ে বসবেন, তাঁদের কথা মাথায় রেখে স্টল নির্মাণ করা হবে। মেলায় প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হবে। জনগণের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এবং যেকোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মেলা প্রাঙ্গণে বিভিন্ন স্থানে বসানো হবে সিসি ক্যামেরা। পুলিশ, টিএসআর বাহিনীর পাশাপাশি সিভিল ডিফেন্স, স্কাউটস অ্যান্ড গাইড কর্মী, স্বেচ্ছাসেবী কর্মীসহ সাদা পোশাকের কর্মীদের নিয়োগ করা হবে।যেকোনো ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এড়াতে মেলা প্রাঙ্গণে অস্থায়ী অগ্নিনির্বাপণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। মেলায় আসা দর্শনার্থীদের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁদের জন্য চিকিৎসাকেন্দ্র এবং জরুরি প্রয়োজনে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সউ পরিষেবারও ব্যবস্থা রাখা হবে। প্রতিবছরের মতো উৎসব প্রাঙ্গণে সাত দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে, এতে রাজ্যের সহস্রাধিক শিল্পী অংশ নেবেন বলে জানান। এদিনের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা বিধানসভার মাননীয় অধ্যক্ষ তথা খয়েরপুর কেন্দ্রের বিধায়ক রতন চক্রবর্তী, মান্দাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ধীরেন্দ্র দেববর্মা,পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা দেব সরকার,আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার,পশ্চিম জেলার জেলা শাসক দেবপ্রিয় বর্ধন,অতিরিক্ত জেলা শাসক-১,তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা রতন বিশ্বাস,যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের অধিকর্তা সুবিকাশ দেববর্মা,শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের অধিকর্তা,স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা রাধা দেববর্মা,অগ্নিনির্বাপক দপ্তরের অধিকর্তা,জনজাতি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অধিকর্তা,আকাশবাণী আগরতলার স্টেশন ডাইরেক্টর,ত্রিপুরা সড়ক পরিবহণ নিগমের অধিকর্তা,ত্রিপুরা পর্যটন উন্নয়ন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর,ত্রিপুরা নগরোন্নয়ন দপ্তরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর,আগরতলা দূরদর্শন কেন্দ্রের স্টেশন ডাইরেক্টর,পুরাতন আগরতলা পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ শীল, পুরাতন আগরতলা পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারপার্সন মান্টি দেবনাথ,আগরতলা পুর নিগমের ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার উত্তম কুমার ঘোষ, বিশিষ্ট সমাজসেবী অমিত নন্দী, মানিক সিং,ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদের চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার,পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপার,পশ্চিম জেলার ট্রাফিক পুলিশ সুপার,পশ্চিম জেলার পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের পুলিশ সুপার,বোধজংনগরস্থিত টি.এস.আর দ্বিতীয় বাহিনীর কমান্ডেন্ট,আগরতলা পুর নিগমের অতিরিক্ত কমিশনার,পুরাতন আগরতলা ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক,জিরানিয়া মহকুমার মহকুমা শাসক জীবন কৃষ্ণ আচার্য্য সহ প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকেরা।