Site icon janatar kalam

কল্যাণপুরে সেতুর কাজ পরিদর্শনে বিধায়ক সহ দপ্তরের আধিকারিকরা

জনতার কলম ত্রিপুরা, কল্যাণপুর প্রতিনিধি :-কল্যাণপুরের রতিয়া খেয়া ঘাটে নির্মিত সেতু পরিদর্শনে যান বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী। রুরাল ডেভেলপমেন্ট দপ্তর থেকে এই সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতি বছরই ঐ এলাকার মানুষ একটি পাকা সেতুর অভাবে অবর্ণনীয় দুর্দশা পোহান। সাধারণ মানুষই পায়ে চলার মতো প্রতিবছর একটি বাঁশের সাঁকো বানান। যা খোয়াই নদীর জলস্ফীতি হলেই ভাসিয়ে নিয়ে যান। বিধায়কের সাথে নুতন নির্মীয়মান সেতুর গুণগত মান খতিয়ে দেখতে যান আর ডি দপ্তরের নির্বাহী বাস্তুকার ইন্দ্রজিৎ ভৌমিক এবং এস ডি ও উৎপল দেববর্মা।
৪০ বছর পর কল্যাণপুরের রতিয়া খেয়াঘাটে তৈরি হবে আরসিসি পাকা ব্রিজ খোয়াই সেতুর উপর। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র। বিধায়ক বলেছেন 2022 সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে চালু হতে পারে এই সেতু। ১৯৮০ সাল থেকে কল্যাণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের রতিয়া সহ মোট পাঁচটি পঞ্চায়েতের প্রায় ২৫000 জাতি উপজাতি অংশের মানুষ দাবি জানিয়ে আসছিলেন যে রতিয়া খেয়া ঘাটে একটা সেতু হওয়া প্রয়োজন। জনস্বার্থেই তারা এই আবেদন জানিয়ে আসছিলো। কেননা সেতু তৈরি হলে আসা-যাওয়ার বা কৃষক অংশের মানুষের সহ প্রত্যেক মানুষের যাতায়াতের সুবিধা হবে। আর যোগাযোগের মাধ্যম সঠিক হলে কোন গ্রাম বা পাড়ার বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্প সাধিত হয়। তাতে করে সমাজের সমস্ত অংশের মানুষের সুবিধা হয় বা লাভবান হন প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে। নির্বাচনের আগে কল্যাণপুরের বিধায়ক বিধানসভার মানুষদের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে ক্ষমতায় আসলে একটি সেতু তৈরি করে দেবেন রতিয়া খেয়াঘাটে। তাই হল। এলাকার বিধায়ক পিনাকি দাস চৌধুরী মানুষের দাবি মাথায় নিয়ে রাজ্যের সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এর সাথে সাক্ষাৎ করেন। যথারীতি মানুষের দাবী মান্যতা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী রতিয়া খেয়াঘাটে একটি সেতু তৈরি করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং দপ্তরকে নির্দেশ দেন। খবরে বেজায় খুশি এলাকার সব অংশের মানুষ। বিধায়ক পিনাকি দাস চৌধুরী সংবাদ মাধ্যমকে জানান যে রতিয়া খেয়াঘাটে খোয়াই নদীর উপর আরসিসি পাকা সেতু তৈরি হবে। রাজ্যের আর ডি দপ্তর এই কাজ সম্পন্ন করবেন। মোট বরাদ্দ করা হয়েছে এক কোটি ৬৪ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকা। পাকা সেতুটি লম্বা হবে ১১০ মিটার এবং প্রস্থ হবে প্রায় ৭ ফুট। এই পাকা সেতুতে থাকবে ৬ টি পিলার। সমস্ত রকমের ছোট গাড়ি বাইক স্কুটি চলাচল করতে পারবে অনায়াসে। কৃষি প্রধান এলাকার কৃষকদেরও প্রভূত লাভ হবে। এখন দেখার কবে নাগাদ এই সেতুর কাজ শেষ হয়।

Exit mobile version