জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধিঃ- আজ রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ১নং প্রেক্ষাগৃহে ত্রিপুরা পাম্প অপারেটর সংঘের “দ্বিবার্ষিক রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মঙ্গলদ্বীপ প্রজ্জ্বলিত করে ত্রিপুরা পাম্প অপারেটর সংঘের “দ্বিবার্ষিক রাজ্য সম্মেলনের শুভ সূচনা করেন রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। আজকের এই সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পৌর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার,সোসাইটি ফর ম্যানেজমেন্ট অফ কালচারেল কমপ্লেক্স এর চেয়ারম্যান শ্রী কমল দে, ত্রিপুরা পাম্প অপারেটর সংঘের যুগ্ম উপদেষ্টা তথা মোহনভোগ পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান জীতেন দাস,ত্রিপুরা পাম্প অপারেটর সংঘের সভাপতি বিজয় রায়,সম্পাদক ঝুনু লাল শুক্লদাস সহ সারা রাজ্য থেকে আগত ত্রিপুরা পাম্প অপারেটর সংঘের সদস্য-সদস্যারা। এদিন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন আমরা জানি 4,5 হাজার টাকা দিয়ে সংসার চলে না কেননা আপনি যদি আপনার পরিবারকে নিয়ে কোন এক ভালো রেস্টুরেন্টে গিয়ে সময় কাটাতে চান সেখানেই 4,5 হাজার টাকা চলে যায় তাহলে মাস কিভাবে চলবে। শুধু শহরেই নয় গ্রামেও পরিবার নিয়ে ভালোভাবে সংসার করতে চাইলে 10 থেকে 15 হাজার টাকা রোজগার প্রয়োজন। সুতরাং দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছক্কা 7 সবকা বিকাশ এবং সবকা বিশ্বাস এর যে মূলমন্ত্র সেই মূলমন্ত্রে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি। তাছাড়া এদিন তিনি আরো বলেন যেকোন অফিস, রেস্ট হাউজ অথবা হোটেল ভবনের পানি সরবরাহকারী পাম্পের সামগ্রিক দেখভাল করা এবং পাম্প সচল আছে কিনা সে দিকে খেয়াল রাখার দায়িত্ব পালন করতে হয় একজন পাম্প অপারেটরকে। তাছাড়া পাম্পের মাধ্যমে পানি উত্তোলন করা সম্ভব না হলে সে ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো একজন পাম্প অপারেটরের দায়িত্ব এবং ভবনে পানি সংকট দেখা দিলে বা পানির সরবরাহ কোন কারণে নির্দিষ্ট সময় বন্ধ থাকলে সে ব্যাপারে যথাযথ তথ্য জানতে হয় একজন পাম্প অপারেটরের। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় তথ্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জ্ঞাপন করার কাজ একজন পাম্প অপারেটরকে সম্পন্ন করতে হয়। সুতরাং এক্ষেত্রে পাম্প অপারেটরের ভূমিকা অপরিসীম বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।