জনতার কলম ত্রিপুরা কলানপুর প্রতিনিধিঃ- কল্যাণপুর বিদ্যুৎ নিগমের বিদ্যুৎ পরিষেবা দিনের-পর-দিন মুখ থুবরে পড়ছে । জানা-অজানা কারণেই দিনে কয়েক শত বার বিদ্যুৎ আসে আর যায় । কল্যাণপুর মিনি শহর, পশ্চিম ঘিলাতলী , কমলনগর, আমপুরা , ফিডার গুলিতে বিদ্যুৎ চপলতা ঊর্ধ্বমুখী । বৃহস্পতিবার কল্যাণপুর বিদ্যুৎ নিগমের অধীন পশ্চিম ঘিলাতলী গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন মনিপুরী বস্তি এলাকার মানুষজন রা কল্যাণপুর বিদ্যুৎ দপ্তরে এসে রাত দশটার পর হাজির হন। কেননা বিদ্যুৎ নেই গ্রামে। জানা যায় গত তিনদিন ধরে ওই এলাকায় বিদ্যুতের আলো নেই । দফতরে কলের পর কল দেওয়ার পরও বিদ্যুৎ নিগম আর কোনো উদ্যোগ না গ্রহণ করায় এলাকাবাসীরা রাতে এসে বিদ্যুৎ সরাই করার কথা বলেন। শুরু হয় চিৎকার-চেঁচামেচি। ছুটে আসে পুলিশ।পরবর্তী সময়ে সিনিয়র ম্যানেজার নিহার রঞ্জন দাস এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রামপ্রসাদ পাল এর সঙ্গে কথা বলে জানান আগামীকাল বিদ্যুৎ সারাই করা হবে, আজ রাতটা কষ্ট করে থাকার জন্য অনুরোধ জানালে পরবর্তী সময়ে এলাকাবাসীরা বাড়ি ফিরে যান। কল্যাণপুর বিদ্যুৎ দপ্তরে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ যেকোনো সময় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা যেতে পারে। যেকোনো সময় বড় ধরনের কোনো আন্দোলন করতে পারে সাধারণ জনগণ। তাই এ কথা চিন্তা করে কল্যাণপুর থানার পুলিশ বিদ্যুৎ নিগম অফিসে গভীর রাত পর্যন্ত সিকিউরিটির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো কল্যাণপুরে এই বিদ্যুতের সমস্যা মানুষ আর কতদিন সহ্য করবে। একদিন না একদিন তো সহ্যের সীমা পেরিয়ে যাবে। কল্যাণপুরের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিয়ে জনসাধারণের গনরোষ তৈরি হলে তখন কি আটকাতে পারবে পুলিশ। কল্যাণপুরের ভাঙ্গা বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় এলাকায় এলাকায় প্রচণ্ড ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মধ্যে। এই গণক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ কিন্তু যে কোন সময় হতে পারে। এদিকে কল্যাণপুর বিদ্যুৎ নিগমের কর্মীরাও যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন বিদ্যুৎ সঠিক রাখার। তবে প্রশ্ন উঠছে কেন এত ফল্ট।