Site icon janatar kalam

রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতী, সাংবাদিক মহল, পুলিশ টি এস আর দের জন্য শুখবর নিয়ে এলো মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধিঃ- বুধবার রাজ্য সচিবালয়ে রাজ্যের তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী এক সাংবাদিক বৈঠকে মিলিত হন। এদিনের বৈঠকে মন্ত্রী রাজ্য মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত তুলে ধরে তিনি জানান রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরে 900 শিক্ষক নিয়োগ করতে যাচ্ছে যা রাজ্যের ইতিহাসে অন্যতম, যার মধ্যে প্রথমতঃ 340 টি পোস্ট গঠন করা হয়েছে যার মধ্যে 230 জন গ্রেজুয়েট শিক্ষক এবং 110 জন পোস্ট গ্রাজুয়েট শিক্ষক। দ্বিতীয়তঃ 600 এলিমেন্টারি লেভেলে 280 জন গ্রাজুয়েট শিক্ষক এবং 320 জন আন্ডার গ্রাজুয়েট শিক্ষক নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত যার দ্বারা যে সমস্ত শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীরা শিক্ষকতার মাধ্যমে নিজের জীবনকে সুন্দর করে গড়তে চাই তাদের সুবিধা হবে বলে। তাছাড়া বর্তমান রাজ্য সরকার যে সাংবাদিক বান্ধব সরকার তা প্রমাণিত করল রাজ্য মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তে, কেননা রাজ্যের সাংবাদিকদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা স্বাস্থ্য বীমা পরিষেবার তা রাজ্য মন্ত্রিসভায় আজ পাস হলো, এ নিয়ে মন্ত্রী বলেন যারা অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড হোল্ডার তারা ত্রিপুরা জার্নালিস্ট হেলথ স্কীমের আওতায় বছরে তিন লক্ষ টাকা স্বাস্থ্য বিমা পাবে ৮০ঃ২০ রেশিওতে, মানে বর্ধিত অর্থের ৮০% সরকার বহন করবে এবং ২০% বেনিফিশিয়ারি কে বহন করতে হবে। এই স্বাস্থ্যবীমা পরিষেবার মধ্য দিয়ে গরিব অংশের যেসব সাংবাদিকরা রয়েছেন তাদের চিকিৎসক পরিষেবার যে দুশ্চিন্তা তা থেকে মুক্তি হতে পারবেন বলে আশা ব্যক্ত করলেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, তার পাশাপাশি বর্তমান রাজ্য সরকার যে সাংবাদিকবান্ধব সরকার তা অক্ষরে অক্ষরে পালন হয়েছে বলে মন্তব্য করেন। পাশাপাশি রাজ্যে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডধারী সাংবাদিক ১৭৭ জন রয়েছে এবং নতুন আবেদনপত্র জমা পড়েছে প্রায় ২৫০ জন সুতরাং নতুন যাদের জমা পড়েছে তাদের যোগ্যতা বিচার করে নতুন কার্ড প্রদান করে পুরাতন নতুনদের মিলিয়ে এই স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। পাশাপাশি গৃহ মন্ত্রণালয়ের অধীনে অগ্নিনির্বাপক দপ্তরে ৩০৪ জন ফায়ারম্যান এবং ২৫ জন ড্রাইভার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাছাড়া রাজ্যের পুলিশ এবং টি এস আর এর ক্ষেত্রে তাদের যে রেশন মানি তা ৮০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করা হয়েছে, টিএসআর এর ক্ষেত্রে সুবেদার পদ অবধি এবং পুলিশের ক্ষেত্রে ইন্সপেক্টর পদ অবধি যার ফলে রাজ্য সরকারকে 5 কোটি 30 লক্ষ 64 হাজার 800 টাকা বাৎসরিক খরচ করতে হবে এবং তাদের চাকরির বয়সসীমা 57 থেকে বাড়িয়ে 60 বছর করা হয়েছে যার ফলে রাজ্য সরকারকে 53 কোটি 40 লক্ষ 45 হাজার 46 টাকা বাৎসরিক খরচ হবে সরকারের বলে জানান। সর্বশেষে রাজ্যের বেকার যুবক যুবতীদের কথা মাথায় রেখে রাজ্যের বিভিন্ন সেল্ফ হেল্প গ্রুপ থেকে লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে যে স্ট্যাম্প ডিউটি প্রদান করতে হতো তা রেভিনিউ ডিপার্টমেন্টের অনুমোদনে 10 লক্ষ টাকা অবধি তাদের স্ট্যাম্প ডিউটি মুকুব করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান, যার ফলে রাজ্য সরকারের যে আত্মনির্ভর ত্রিপুরা গড়ার যে ডাক সেই ডাকে সফল বাস্তবায়ন ঘটবে বলে আশা ব্যক্ত করেন রাজ্যের যুব ও ক্রীড়া এবং তথ্য সংস্কৃতি বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।

Exit mobile version