Site icon janatar kalam

খাদ্য দপ্তর ঘুমে, ২০৩২ এর সিল লাগানো খাদ্যদ্রব্যে

জনতার কলম ত্রিপুরা কল্যাণপুর প্রতিনিধি:- আবারো কল্যাণপুরে প্যাকেটজাত খাদ্যদ্রব্য নিয়ে অভিযোগ। অভিযোগ প্যাকেটজাত খাদ্যদ্রব্যের গায়ে তৈরির তারিখ হিসেবে লাগানো আছে ৩ মার্চ ২০৩২ অর্থাৎ ১০ বছর পরের তারিখ লাগানো খাদ্যদ্রব্য অনায়াসে বিক্রি হচ্ছে কল্যাণপুরে। এরকমই এক লাড্ডুর প্যাকেট কিনে নিয়ে খাবার সময় জনৈক ক্রেতা দেখলেন খাদ্যের মধ্যে সমস্যা রয়েছে, তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করছেন হয়তোবা গুণগতমান সমৃদ্ধ খাবার না। এরপর খাবারের প্যাকেটের গায়ে লাগানো তারিখ দেখেই উনার চক্ষু চড়ক গাছ । রাজ্যবাসীর অবগতির জন্য এই প্রতিবেদনের সাথে সংশ্লিষ্ট খাদ্যদ্রব্যের প্যাকেটের ছবি দেওয়া হল। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যেই খাদ্যদ্রব্যের গায়ে সঠিকভাবে নির্মাণ তারিখ লেখা নেই বা মুদ্রণ করা হয়নি সেই খাদ্যদ্রব্য কিভাবে দেদার বিকোচ্ছে? এই খাদ্যদ্রব্যের গুণগত মান বজায় আছে কি নেই তা সাধারণ ক্রেতারা কিভাবে বুঝবেন? অভিযোগ প্রায় সময়ই কল্যাণপুর এর বিভিন্ন জায়গায় মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্য সামগ্রী রুটি, কেক, বিস্কুট ইত্যাদির বিক্রি নিয়ে অভিযোগ উঠে, সংবাদমাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশিত হয়। কিন্তু তারপরেও খাদ্য দপ্তর কোন প্রকারের ভূমিকা গ্রহণ গ্রহণ করছেন না বা অজ্ঞাত কোন কারণে এই সমস্ত ক্ষেত্রে কোন ভূমিকা গ্রহণ করছেন না। আর আজকের যে ঘটনা প্রকাশ্যে এলো তাতে তো প্রমাণিত বিভিন্ন বেকারী কিংবা খাদ্যসামগ্রী নির্মাতারা খাদ্য দপ্তরের কর্তাদের ধর্তব্যের মধ্যেই আনেন না যার ফলে যা খুশি তারা করে চলেছেন, আর দপ্তর বাবুরা মোটা মাইনের বেতন গুনলেও সাধারণ মানুষের সুস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করতে চাইছেন না। শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মহল থেকে দাবি উঠছে অবিলম্বে খাদ্য দপ্তর এইসব ক্ষেত্রে উপযুক্ত তদন্ত করে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। সব মিলিয়ে বলা চলে ২০২২ এর শুরুতেই ২০৩২ এর সিল লাগানো খাদ্যদ্রব্যের দেদার বিক্রির খবর প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে কল্যাণপুর জুড়ে।

Exit mobile version