Site icon janatar kalam

আই এল এসকে হারিয়ে ৭৬ রানের বিশাল ব্যবধানে জয়ী জার্নালিস্ট রিক্রিয়েশন ক্লাব

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধিঃ- রাজধানী আগরতলা ভোলাগিরি মাঠে আই এল এস-এর দশম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত হয় এক টি-২০ প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় জার্নালিস্ট রিক্রিয়েশন ক্লাব বনাম আই এল এস একাদশের মধ্যে। বিনোদনের জন্য আয়োজিত এই প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচে ৭৬ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছে সাংবাদিক বিনোদন ক্লাব তথা জেআরসি। বলা চলে পেশাগত দায়িত্বের ক্ষেত্রে দুটি পৃথক প্রকৃতির, একদিকে কলম-ক্যামেরা নিয়ে সাংবাদিকতা, অপরদিকে হেলথ্-কেয়ার সম্বন্ধিত আইএলএস হসপিটাল একাদশ। এই খেলার মূল উদ্দেশ্য হল দু’দলের পারস্পরিক সম্প্রীতি অটুট রাখা। এদিনের ম্যাচে উন্মাদনার প্রেক্ষাপটে অধিনায়ক অভিষেক দে, তাঁর সংক্ষিপ্ত ভাষণে ক্রিকেটের জয় হয়েছে বলে ব্যক্ত করেন। টস জিতে জেআরসি প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে সীমিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে ওপেনার মেঘধন দেবের সর্বাধিক ২৯ রান, সুব্রত দেবনাথের ২৫ রান, বিশ্বজিৎ দেবনাথের অপরাজিত ২৩ রান, অনির্বাণ দেবের ২১ রানের পাশাপাশি বাপন দাসের ১৯ রান, প্রসেনজিত সাহার ১৩ রান, তাপস দেবের ১৩ রান এবং মৃদুল চক্রবর্তীর ১১ রান উল্লেখযোগ্য। টিম আইএলএস-এর জয়দেব ২টি উইকেট পেয়েছেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে টিম আইএলএস ১৬.৩ ওভার খেলে ৯১ রানে ইনিংস গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়। দলের পক্ষে অমরজিৎ সরকারের ২৪ রান এবং ড: দীপ দত্তের ২৩ রান উল্লেখ করার মতো। জেআরসি-র অধিনায়ক অভিষেক দে ২৭ রানে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে দলকে জয়ী করার পাশাপাশি ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ-এর ট্রফিও জিতে নেন। এছাড়া তাপস দেব ৯ রানে ৩ উইকেট দখল করে বেশ নজর কেড়েছে। বিশ্বজিৎ দেবনাথ এবং অনির্বাণ দেবও পেয়েছে একটি করে উইকেট। দিব্যেন্দু দে, বিপ্লব বিশ্বাসও ভালো খেলেছেন। খেলা শেষে মাঠেই আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে সর্বভারতীয় স্পোর্টস জার্নালিস্ট ফেডারেশনের সহ-সভাপতি তথা ত্রিপুরা স্পোর্টস কাউন্সিলের জয়েন্ট সেক্রেটারি সরযূ চক্রবর্তীর, জেআরসির প্রেসিডেন্ট সুপ্রভাত দেবনাথ, সচিব অভিষেক দে, আইএলএস-র পক্ষে হেড্ অফ্ বিজনেস ডেভেলপমেন্ট মনোজ দেবনাথ প্রমুখ বিজয়ীদের হাতে সুদৃশ্য ট্রফি তুলে দেন। শ্রীদেবনাথ এ ধরনের খেলা নিয়মিত জারি রাখার আশ্বাস ব্যক্ত করেন। এদিকে পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিনোদনের লক্ষ্যে মাঠে প্রীতি ম্যাচে শামিল হওয়ার মধ্য দিয়ে মূলত ক্রীড়া আঙ্গিনাকে সমৃদ্ধ করে বলে যুগ্ম-সচিব শ্রীচক্রবর্তী এধরনের উদ্যোগের ভূয়ষী প্রশংসা করেন।

Exit mobile version