জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধিঃ- আজ ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবস। গোটা দেশের সাথে রাজ্যেও যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে দিনটি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ রাজ্যের সেক্রেটারীয়েট, রাজধানীর এলবার্ট এক্কা পার্ক এবং গান্ধীঘাটে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করা হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী রতন লাল নাথ। এদিন শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে এবং রাজধানীর গান্ধিঘাটস্থিত এলাকার শহিদ বেদিতে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি। এদিন মন্ত্রী বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন বিশ্বের এমন কোন দেশ নেই যেখানে গনতন্ত্র এবং প্রজাতন্ত্র উভয়ই বিরাজমান, আমাদের দেশে তা রয়েছে সেজন্য আমরা দিনটিকে যথেষ্ট মর্যাদা দিয়ে সন্মামের সহিত উদযাপিত করি বলে জানান শিক্ষা মন্ত্রী। তাছাড়া ১৫ই আগস্ট ১৯৪৭ এ দীর্ঘ স্বাধীনতা আন্দোলনের ফলে ভারত ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি পায়। এই স্বাধীনতা আন্দোলনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে পরিচালিত, প্রায় সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ অহিংস অসহযোগ আন্দোলন ও আইন অমান্য আন্দোলন। স্বাধীনতা লাভের প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হয় যুক্তরাজ্যের সংসদে ভারতীয় স্বাধীনতা আইন পাশ হওয়ার মাধ্যমে, কিন্তু তখনও দেশে কোনো স্থায়ী সংবিধান ছিল না; ঔপনিবেশিক ভারত শাসন আইনে কিছু রদবদল ঘটিয়েই দেশ শাসনের কাজ চলছিল। ১৯৪৭ খ্রিঃ ২৮শে আগস্ট একটি স্থায়ী সংবিধান রচনার জন্য ড্রাফটিং কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন ভীমরাও রামজি আম্বেডকর। ৪ঠা নভেম্বর ১৯৪৭ তারিখে কমিটি একটি খসড়া সংবিধান প্রস্তুত করে গণপরিষদে জমা দেয় চূড়ান্তভাবে সংবিধান গৃহীত হওয়ার আগে ২ বছর, ১১ মাস, ১৮ দিন ব্যাপী সময়ে গণপরিষদ এই খসড়া সংবিধান আলোচনার জন্য ১৬৬ বার অধিবেশন ডাকে। এই সমস্ত অধিবেশনে জনসাধারণের প্রবেশের অধিকার ছিল। ১৯৪৯ সালের ২৬শে নভেম্বর স্বাধীন ভারতের সংবিধান গৃহীত হবার পর ঠিক করা হয় ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারি থেকে ভারতের সংবিধান কার্যকর হবে এবং সেদিন থেকে প্রজাতান্ত্রিক ভারতবর্ষ হিসেবে পরিচিত লাভ করে এবং দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের শহিদদের এবং সংবিধান প্রনেতা ও দেশের সংবিধানের প্রতি যথেষ্ট সন্মান জানাচ্ছেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।